বাংলা হান্ট ডেস্ক: “গরুর দুধে পাওয়া যায় সোনা!” এমনই দাবি করেছিলেন রাজ্যে বিজেপির অন্যতম নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর সেই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। পাশাপাশি, দিলীপের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মিমের ছয়লাপ ঘটতে থাকে নেটমাধ্যমেও।
কিন্তু, এবার দেগঙ্গার গোবর্ধনপুর এলাকায় গরুর মূত্র ও গোবরে সোনালি রঙের পাথর জাতীয় জিনিস মিলতেই ফের সেই প্রসঙ্গকে টেনে আনা হয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে যে, গোবর্ধনপুর এলাকার এক বাসিন্দা গরু পালন করেন।
কিন্তু, গত রাতে আচমকাই বাড়ির মালিক লক্ষ্য করেন যে, গরুর মূত্র ও গোবর থেকে সোনালি রঙের পাথর জাতীয় জিনিস বের হচ্ছে। এই ঘটনায় অবাক হয়ে যান তিনি। স্বাভাবিকভাবেই, এই আশ্চর্যজনক খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি, খবর পেয়ে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীও উপস্থিত হন তাঁর বাড়িতে।
৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই সোনালি রঙের পাথরের মতো দেখতে জিনিসগুলি কিনে নেন ওই ব্যবসায়ী। তারপরেই এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ জাগতে থাকে যে, ওই সোনালি রঙের পাথরগুলি কি সত্যিই সোনা? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে থাকেন তাঁরা। তবে উদ্ধার হওয়া সোনালি রঙের পাথর জাতীয় বস্তু সোনা না অন্য কোনও ধাতু সেটা অবশ্য স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।
এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে যুক্তিবাদী মঞ্চ দাবি করেছে যে, ওই পাথরগুলির মত জিনিসগুলি হল গলব্লাডার স্টোন। পাশাপাশি, আরও জানানো হয়েছে যে, মানুষের যেমন গলব্লাডার স্টোন হয়, ঠিক তেমনই গবাদি পশুর পেটেও পাথর হতে পারে। যা হয়তো স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাজে লাগে।
আর ওই কারণেই হয়তো সোনালি রঙের পাথর গুলি এত দামে বিক্রি করা হয়েছে বলে মনে করছেন সবাই। পাশাপাশি, যুক্তিবাদী মঞ্চের মতে, গরুর মূত্র ও গোবর থেকে সোনা পাওয়ার ব্যাপারটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।