বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত ১০০ বছরে কত বনপ্রাণ যে মানুষের অত্যাচারে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে তার তালিকা অতি দীর্ঘ। বিপন্ন প্রাণীর তালিকাও কিছু কম নয়। আর এই বিপন্ন তালিকার এক দম উপরের সারিতেই আছে বাঘ।
গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি প্রজাতির বাঘের সংখ্যা হাতে গোনা। আর এই তালিকাতে রয়েছে এক বিরল প্রজাতির বাঘ। যার গায়ের রং সোনালি। চিড়িয়াখানা ছাড়া গত ১০০ বছরে আর কোনো বনে এই প্রাণীর দেখা মেলেনি। এবার তার দেখা মিলল কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে।
গোল্ডেন টাইগার বা গোল্ডেন ট্যাবি টাইগার একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বিরল রূপ। এই ঘটনাটি আবাসস্থল ধ্বংস এবং সংযোগ হ্রাসজনিত কারণে খণ্ডিত জনসংখ্যার সাথে জন্মানোর ফলে ব্যক্তিদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান জিনের কারণে ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। অন্তত ৬ বার ক্যামেরায় ধরা পড়া এই বাঘিনীর নাম রাখা হয়েছে ‘গোল্ডি’
A golden #tiger.
Rare gold colored tiger by camera trap from #India. Very rare occurrence of a golden tiger in the #wild. Some say it is caused by a recessive gene that gets expressed due to extensive inbreeding. Looks different !! pic.twitter.com/ckUN0AeS3e
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) October 31, 2019
Few were recorded in zoo. But rarely captured in wild. And in recent years this one individual. Pics taken & sent by @Mayuresh_Hendre for sharing with all. pic.twitter.com/bFPhSL0fqg
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) July 11, 2020
প্রসঙ্গত, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান হল ভারতের আসাম রাজ্যের গোলাঘাট ও নগাঁও জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। বিশ্বের একশৃঙ্গ গণ্ডারের দুই-তৃতীয়াংশ এই জাতীয় অরণ্যে বাস করে।কাজিরাঙায় একটি সংরক্ষিত অঞ্চল আছে। এখানে বেঙ্গল টাইগারের ঘনত্ব বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ২০০৬ সালে এটি ব্যাঘ্র প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে।
এই জাতীয় উদ্যানে প্রচুর হাতি, বন্য জলমহিষ ও বারশৃঙ্গার পাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সংরক্ষণ করা হয় বলে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশানাল একে “গুরুত্বপূর্ণ পক্ষীক্ষেত্র” বলেও ঘোষণা করেছে।
ভারতের অন্যান্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তুলনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজিরাঙার সাফল্য তুলনামূলকভাবে বেশি। পূর্ব হিমালয় বায়োডাইভার্সিটি হটস্পটের সীমান্তে অবস্থিত বলে এই উদ্যানে বহু বিচিত্র প্রজাতির সমাগম দেখা যায়।