ট্রেনে ভ্রমণকারী মায়েদের এবং তাঁদের নবজাতকের জন্য নেওয়া হল বিশেষ উদ্যোগ! জানুন বিস্তারিত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দূর গন্তব্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমাদের রেলপথের ওপরেই ভরসা করতে হয়। এমতাবস্থায়, নতুন মায়েদের জন্য ট্রেন ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক করতে এবং তাঁদের নবজাতকের কথা মাথায় রেখে এবার দারুণ একটি উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে, এবার রেলের তরফে ফোল্ডেবল “বেবি বার্থ” চালু করা হচ্ছে।

মূলত, এই বিশেষ উদ্যোগটি নর্থান রেলওয়ের লখনউ ও দিল্লি বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় “মাতৃ দিবস” উপলক্ষ্যে চালু করা হয়। আপাতত একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে 12230 সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস লখনউ মেলের AC থ্রি-টায়ার (194129/C) B4 কোচের 12 এবং 60 নাম্বার বার্থে এটি শুরু করা হয়েছে।

পাশাপাশি, নর্থান রেলওয়ের লখনউ বিভাগের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের তরফে টুইটের মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে যে, এই নতুন “বেবি বার্থ”টি ভাঁজ করা যায় এবং প্রয়োজনে একটি স্টপার দিয়ে মূল বার্থের সাথে সুরক্ষিতও করা যেতে পারে।

কিভাবে এই “বেবি বার্থ” মায়েদের সাহায্য করবে?
মূলত, এই “বেবি বার্থ”গুলি সেইসব মায়েদের অত্যন্ত কাজে আসবে যাঁরা তাঁদের নবজাতককে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাইবেন। এই ফোল্ডেবল বার্থ সংযুক্ত করার মাধ্যমে, মা এবং শিশু উভয়ই ঘুমনোর ক্ষেত্রে বা বিশ্রামের জন্য পৃথক পৃথক জায়গা পাবেন।

এই প্রসঙ্গে “টাইমস অফ ইন্ডিয়া”র একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এই বেবি বার্থের দৈর্ঘ্য হল ৭৭০ মিমি এবং প্রস্থ ২৫৫ মিমি। পাশাপাশি এটির উচ্চতা ৭৬.২ মিমি। নতুন এই বার্থ সম্পর্কে বলতে গিয়ে লক্ষ্ণৌ বিভাগের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অতুল সিং বলেছেন, “যখন এটি ব্যবহার করা হয় না, তখন এটি একটি স্টপার দিয়ে সুরক্ষিত করা যেতে পারে। বার্থটি শিশুর জন্য ব্যবহার করা খুব সহজ। পাশাপাশি শিশুকে সুরক্ষিত করার জন্য এতে স্ট্র্যাপও রয়েছে।”

নতুন এই বার্থ কবে উপলব্ধ হবে সমস্ত ট্রেনে?
মূলত, ওই বেবি বার্থের ধারণাটি রেলওয়ে বোর্ডের সাম্প্রতিক পর্যালোচনা সভায় মহারাষ্ট্র-ভিত্তিক ইঞ্জিনিয়ার নীতিন দেওর প্রথম সামনে আনেন। এই প্রসঙ্গে লখনউ বিভাগের রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেশ কুমার সাপ্রা বলেছেন, “এই ধারণাটিকে বেবি বার্থের আকার দেওয়া হয়েছে। যদি এটি যাত্রীদের (মায়েদের) সহায়তা করতে সফল হয়, তবে রেলওয়ে সমস্ত ট্রেনে এই বার্থ চালু করবে।”

পাশাপাশি, তিনি আরও বলেছেন, “বর্তমানে মহিলাদের জন্য বার্থ বুক করার কোনো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু, যারা তাঁদের দের শিশুদের সাথে ভ্রমণ করছেন, তাঁরা সংশ্লিষ্ট ট্রেনের টিকিট পরীক্ষকের কাছে গিয়ে লোয়ার বার্থের কোনো একজন যাত্রীর সাথে আসন বিনিময় করতে পারেন। কারণ, সেখানেই এই বার্থ সংযুক্ত থাকে।”

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট দলটি শীঘ্রই সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেমের (CRIS)-এর সাথে যোগাযোগ করবে যাতে এই বিশেষ বার্থের ক্ষেত্রে মহিলা এবং তাঁদের শিশুদের জন্য একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করা যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর