বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাড়তে থাকা জিনিসপত্রের দাম দেখে, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে, পেট্রোল-ডিজেল সবেতেই যেন আগুন। যাতেই হাত দিতে যাওয়া হয়, তাই আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আরও এক সংকটের মধ্যে রয়েছে মধ্যবিত্ত। ক্রমবর্ধমান রান্নার তেলের দাম দেখে, এবার খাওয়া দাওয়া বন্ধ করার পথে সাধারণ মানুষ।
তবে উৎসবের মরশুমে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে এক বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার। এবার পাম তেলে এবং সূর্যমুখী তেলের উপর এগ্রি সেস এবং কাস্টম ডিউটি হ্রাস করছে। পূর্বেই ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক বিতরণ মন্ত্রণালয় তেল ও তেলবীজের উপর স্টক সীমা আরোপের নির্দেশ জারি করেছিল। ৩১ শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত জারি থাকবে এই আদেশ। রাজ্য গুলোকে এই আদেশ পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারের এই নির্দেশ মত অপরিশোধিত পাম তেলের উপর শুল্ক কমিয়ে ৮.২৫% (পূর্বে ২৪.৭৫%), RBD পামোলিন তেলের উপর ১৯.২৫% (৩৫.৭৫), RBD পাম তেলের উপর ১৯.২৫% (৩৫.৭৫), ক্রুড সোয়া তেলের উপর ৫.৫% (২৪.৭৫), রিফাইন্ড সোয়া তেলের উপর ১৯.৫% (৩৫.৭৫), ক্রুড সূর্যমুখী তেলের উপর ৫.৫% (২৪.৭৫), রিফাইন্ড সূর্যমুখী তেলের উপর ১৯.২৫% (৩৫.৭৫) করা হয়েছে। শুল্ক কমানোর কারণে সিপিওর দাম ১৪১১৪.২৭ টাকা, RBD-র ১৪৫২৬.৪৫ টাকা, সোয়া তেল ১৯৩৫১.৯৫ টাকা প্রতি টন কমেছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে রান্নার তেলের দাম প্রায় ১৫ টাকা কমতে পারে। কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও কাস্টমস বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১৪ ই অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই শুল্ক কাটা হবে ৩১ শে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত।