রাজ্যে বাজেট পেশের দিনে অমিত মিত্র সাধারন মানুষের সুবিধার কথা ভেবে একাধিক ক্ষেত্রে নানান সুবিধার কথা শোনান। এদিন তিনি বলেন “এই প্রকল্প গ্রামীণ বা শহরাঞ্চলে অত্যন্ত গরিব যাঁরা তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে”।
এই প্রকল্পের ফলে অন্তত ৩৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি । আবার এর জন্য রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। এরপর আসা যাক শিক্ষা ক্ষেত্রে , অর্থমন্ত্রীর দাবি, “তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গত আট বছরে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র আমূল বদলে গিয়েছে”। আগামী বছর রাজ্যে আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে বলেন তিনি, কারন এর আগে গত ৮ বছরে রাজ্যে মোট ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে তৃণমূল সরকার। য়ার তাতে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেকটাই উপকার মিলেছে বলে জানা গেছে । তিনটি সিভিল সার্ভিস ইনস্টিটিউট তৈরি করা হচ্ছে, বিশেষ চমক কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুরে এই ইনস্টিটিউটগুলি তৈরি করা হচ্ছে। এগুলির নাম দেওয়া হচ্ছে ‘মহাত্মা গান্ধী’, ‘জয় হিন্দ’ এবং ‘আজাদ’।
কন্যাশ্রীর জন্যও আলাদা করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে তৃণমূল সরকার।আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে মতুয়া, মুসলিম, উর্দূভাষীদের জন্যও। আগামী ২ বছরে রাজ্যে আরও তিনটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। এছড়াও বঞ্চিত না হওয়ার জন্য আদিবাসীদের জন্য ঝাড়গ্রামে তৈরি হবে বিশেষ বিরসা মুণ্ডা বিশ্ববিদ্যালয়। তফসিলি জাতি অধ্যূষিত এলাকার জন্য তৈরি করা হবে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়। এবং অন্যান্য অনগ্রসর জাতির উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা ওবিসি এদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে।
সব মিলিয়ে সবার জন্যই তৈরি করা হবে শিক্ষা প্রতিস্টহান। আর এই ক্ষাতে লাগবে অনেক টাকা , তাই এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এর আগেও সর্বশিক্ষা অভিযানের কথা ভেবে রাজ্যে একাধিক স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের স্কুলমুখি করার জন্য তাদের মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও করা হয়ছ্ব। স্কুলের বাইরে বাথরুম করে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে আবার শিক্ষা ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে চলেছে এই রাজ্যের ছেলে মেয়েরা।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা