বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখা প্রান্তের ডেরা ইসমাইল খানের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শ্মশান থেকে স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ কবজা তুলে দেয়। দীর্ঘ ২৮ বছর অপেক্ষা করার পর অবশেষে হিন্দুরা এই জুদ্ধে জয় পেলো। পাকিস্তানি মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি খবর অনুজায়, ১৯৯২ সালে অবৈধ ভাবে এই জমিকে একটি ব্যাক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে জানায়, ওই এলাকায় শ্মশান বানানোর জন্য খাইবার পাখতুনখা বিধানসভার প্রাক্তন সদ্যস ডঃ সিঙ্ঘার সিং ডেরা ইসমাইল খানের কোটলা সৈদান এলাকায় এই জমি কিনেছিলেন।
এই জমির রেজিস্ট্রেশন লাকি রাম আর দাস রাম নামের ব্যাক্তিদের নামে হয়েছিল। তাঁদের মৃত্যুর পর ওই জমি চুন্নি লাল নামের এক ব্যাক্তিকে স্থানান্তরিত করা হয় আর চুন্নি লালের মৃত্যুর পর স্থানীয় মানুষ শ্মশানে কবজা করে নেয়। গত ২৮ বছর ধরে ওই জমিতে চার জন কবজা করে রেখেছিল।
আর এই ২৮ বছরে হিন্দুরা এই জমিকে পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়েছেন। ডেরা ইসমাইল খানের কমিশনার মুহম্মদ উমর রবিবার একটি বয়ান জারি করে বলেন, স্থানীয় বিধানসভার সদস্য ফৈসল আমিন গন্ডাপুরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এই জমিকে চার জনের কাছ থেকে বেদখল করে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাতে তুলে দিয়েছে।
উমর জানান, সরকার এই জমি হিন্দুদের শ্মশান বানানোর জন্য দিয়েছিল, কিন্তু স্থানীয়রা অবৈধ ভাবে এই জমি দখল করে নেই। কিন্তু এখন জেলা প্রসশন সমস্ত অবৈধ কবজা তুলে দিয়েছে আর এই জমি হিন্দুদের হাতে দিয়ে তাঁদের রীতিমত ব্যবহার করতে বলেছে।
প্রান্তীয় বিধানসভার প্রাক্তন সদস্য কিশোর কুমার, হিন্দু ধার্মিক নেতা দর্পণ কুমার আর অশোক কুমার একটি বয়ান জারি করে বলেন, প্রশাসনের এই পদক্ষেকের জন্য ধন্যবাদ জানাই। প্রশাসনের কারণেই আজ ২৮ বছর পর হিন্দুরা আবার নিজেদের অধিকার ফিরে পেলো।