বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমেরিকার (America) সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সফরের শেষের দিনই বড়সড় ঘোষণা করে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ঘোষণা শুনে আনন্দে মেতে উঠলেন দেশবাসী। আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে রোনাল্ড রেগন সেন্টারে মোলাকাতের সময়েই প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ভারত থেকে চুরি যাওয়া শতাধিক পুরাকীর্তি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘একটা সময় ভারত থেকে চুরি হয়েছিল ১০০ টিরও বেশি পুরাকীর্তি। তবে এবার সেগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। এটা জেনে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। আমি আমেরিকার সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ’।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কিভাবে ভারতীয় এই পুরাকীর্তি আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে ছিল সে বিষয়ে ঠিকঠাক জানা নেই। তবে আমেরিকার সরকার প্রমাণ করে দিল দুই দেশের মধ্যে আবেগের সম্পর্ক এখনও বর্তমান’।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় চুরি গেছে ভারতের বহু পুরাকীর্তি। আন্তর্জাতিক বাজারে সেগুলি বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি ডলারের বিনিময়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর প্রতিটি বিদেশ সফরে সেই চুরি চাওয়া পুরাকীর্তি দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। কথা বলেছেন সে দেশের সরকারের সঙ্গে এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ২০১৪ সালে আমাদের দেশে ফিরেছে ২৩৮ টি পুরাকীর্তি। ২০২২ সালে আমেরিকার প্রশাসন ৩০৭ টি পুরাকীর্তি ভারতকে ফিরিয়ে দিয়েছে, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা। আর এবার আমেরিকা সরকার প্রায় ১০০ টিরও বেশি পুরাকীর্তি ফিরিয়ে দিতে চলেছে ভারতকে।
একটা সময় ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি আলভিন এল ব্র্যাগ জুনিয়র জানিয়েছিলেন, ‘ভারতকে ফেরত দেওয়া পুরাকীর্তি গুলির বেশিরভাগটাই কুখ্যাত ‘আর্ট ডিলার’ সুভাষ কাপুরের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে’। জানিয়ে রাখি, তাঁর বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ভারতই নয়, আফগানিস্তান, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মতো বেশ কিছু দেশের পুরাকীর্তি হাতানোর অভিযোগ ছিল।