গোটা বিশ্বে বাংলার জয়জয়কার, ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক বানিয়ে গুগল সেরা দশে বর্ধমানের দিগন্তিকা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে মাস্ক (mask) আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা আবহে মাস্ক ছাড়া কোন ভাবেই বাইরে বেরোন বিপদজনক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বকে তাক লাগাল বর্ধমানের দিগন্তিকা বসু (digantika bose)। আবিষ্কার করলেন এমন এক মাস্ক, যা একাধারে সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে এবং অন্যদিকে অস্কিজেন ঢুকবে ফুসফুসে।

শুধু তাই নয়, বাংলার দিগন্তিকার এই আবিষ্কারের স্বীকৃতি দিল গুগল। জায়গা করে নিল ‘অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইন’ বিভাগের সেরা দশে। কন্যাশ্রী আবারও বিশ্বে সেরা প্রমাণিত হল। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নানা বিষয়ে উৎসাহব্যঞ্জক ডিজাইন ছবি বা ভিডিয়ো চেয়েছিল গুগল আর্টস অ্যান্ড কালচার। সেখানেই সেরা দশে স্থান পেয়েছে দিগন্তিকার এই আবিষ্কার।

bkbkjdj

পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ভিএম ইনস্টিটিউশন ইউনিট ২-এর দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী হলেন দিগন্তিকা বসু। এই অভিনব আবিষ্কারের বিষয়ে দিগন্তিকা জানিয়েছেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে গুগ্‌ল আর্টস অ্যান্ড কালচার বিশ্বের সেরা ১০টি অনুপ্রেরণামূলক ডিজাইনের মধ্যে আমার তৈরি করা ভাইরাস প্রতিরোধক মাস্ক স্থান পেয়েছে’।

মাত্র ১৭ বছর বয়সেই দিগন্তিকার এই আবিষ্কার সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। দিগন্তিকা জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের মিউজিয়াম অব ডিজাইন এক্সলেন্সের সাহায্যে এই মাস্ক সে তৈরি করতে পেরেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই মাস্ক অনেক কম খরচে এবং সহজেই ভাইরাস মোকাবিলায় সাহায্য করবে। সর্বোপরি দিগন্তিকার এই আবিস্কৃত মাস্ক একদিকে ধুলোবালি থেকে যেমন রক্ষা করবে, তেমনই অন্যদিকে ভাইরাসকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। আবার এই মাস্ক ইনহেলারের মত কাজ করে অস্কিজেন পৌঁছে দেবে ফুসফুসে। তবে এখানেই শেষ নয়, এইটুকু বয়সেই আরও বেশকিছু আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মেমারির এই দিগন্তিকা।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর