বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সদ্য নাম জড়িয়েছে গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) স্ত্রী ‘রহস্যময়ী’ মডেল হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Haimanti Ganguly)। দুদিন থেকে সেই নিয়েই তোলপাড় বঙ্গে। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে হৈমন্তীর সঙ্গে তার প্রেম কাহিনী শোনালেন গোপাল দলপতি।
প্রসঙ্গত, সর্বপ্রথম গোপাল দলপতির নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। হঠাৎই হৈমন্তী নামের এক রহস্যময়ী নারীর নাম উঠে আসে কুন্তলের মুখে। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫-১৬ সালে গোপাল-হৈমন্তীর পরিচয় হয়। জানা গিয়েছে মডেলের বাড়ি হাওড়ার বাকসাড়া রোডে।
এ বিষয়ে গোপাল জানায়, শুক্ল ও কৃষ্ণপক্ষের মতো তারও দুটি পক্ষ। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় তার দ্বিতীয় পক্ষের বউ। কোনো এক বসন্তের শেষে তার সাথে হৈমন্তীর দেখা হয়। নিজের জীবন কাহিনী বলতে গিয়ে গোপাল জানান প্রথম জীবনে পানের দোকানে বসে পড়াশুনা করেছেন তিনি। তারপর দমদম মতিঝিল কলেজ থেকে ইকো-স্ট্যাট-ম্যাথ নিয়ে স্নাতক। টিউশন মাস্টার হিসেবে বেশ রমরমা ছিল তার। বহু ছাত্র-ছাত্রীকে কোচিং দিতেন তিনি।
এই সময়েই বিয়ে সারেন তিনি। গোপালের প্রথম পক্ষের স্ত্রী তারই ছাত্রী ছিলেন। তবে বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি তাদের। ২০০৯ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় দম্পতির। এরপর টিউশনি ছেড়ে নতুন কাজ খুঁজতে থাকে গোপাল। সেই সময়েই একটি চিটফান্ড কোম্পানিতে কাজে ঢোকেন তিনি। ২০১১ সালে ওই চিটফান্ড সংস্থাই কর্মখালির একটি বিজ্ঞাপন দেয়। যা দেখে সেখানে ইন্টারভিউ দিতে আসেন ‘মডেল’ হৈমন্তী।
এরপরেই শুরু তাদের প্রেম কাহিনী। প্রথমে অফিসে আড় চোখে দেখা, তারপর আলাপ। কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। কিন্তু গোপাল জানান তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি হৈমন্তীর পরিবার। এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে গোপাল বলেন, ‘আপনারা ওকে (হৈমন্তী) দেখেছেন, আমারও বেশভূষা দেখছেন। ওকে কেমন দেখতে আর আমাকে কেমন দেখতে। আমরা বেমানান। ও অভিজাত পরিবারের মেয়ে, আর আমার বাড়ির ব্যকগ্রাউন্ড তেমন ছিল না। তাই ওর বাড়ির লোক মানেননি।’
তবে বাড়ির মত না থাকলেও বিয়ে সারেন তারা। সব ঠিকঠাক চলতে থাকে, বেশ কয়েক কোম্পানিও খোলেন তারা। তবে এরই মধ্যে ২০১৮ সালে পুরনো এক চিটফান্ড মামলায় জেলে দিল্লির তিহার জেলে যান গোপাল। সেই সময় কলকাতায় একা হয়ে যান হৈমন্তী। দুবছর পর জামিন পেয়ে গোপাল জেল থেকে বেরোন ঠিকই কিন্তু ততদিনে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। হৈমন্তী ডিভোর্সের প্রস্তাবে দেন।
এরপরই তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। সেই বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা প্রায় শেষ। গোপালের বলেন হাতে ডিভোর্স সার্টিফিকেট না এলেও হৈমন্তী তার প্রাক্তন। একসাথে থাকেনা তারা। গোপালের কথায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কিছু জানেননা হৈমন্তী। কুন্তল নিজের দুর্নীতি আড়াল করতেই হৈমন্তীর নাম নিয়েছেন।