বাংলা হান্ট ডেস্ক : চাকরি দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে দিনের পর দওন উঠে আসছে একাধিক নাম। নাম নিয়ে ঝামেলাও কম হচ্ছে না। কখনও কুন্তল ঘোষ বলছেন গোপাল দলপতির নাম, তো কখনও গোপাল বলছেন কালীঘাটের কাকুর কথা। এই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে কুন্তল আবার গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) প্রাক্তন স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম তুলে আনেন। এই মডেল, অভিনেত্রীর নাম নিয়ে জলঘোলার মধ্যেই আজ শনিবার দুপুরে একটি সাক্ষাৎকারে গোপাল দলপতি কিছু বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
এদিন একটি প্রশ্নের জবাবে গোপাল দলপতি দাবি করেন, ‘আমায় ইডি জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি তো কুন্তলের অফিসে যেতে! ওখানে কি অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh) কখনও দেখেছ?’ গোপাল এও বলেন, ‘আমি ইডিকে বলি, আমি কখনও সায়নী ঘোষকে দেখিনি। যাঁকে দেখিনি তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলব কেন বলুন!’ প্রসঙ্গত, সায়নী ঘোষ এখন শুধু অভিনেত্রী নন। তিনি এখন যুব তৃণমূলের সভাপতিও। তাই গোপালের এ হেন দাবি স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতিকে উথালপাথাল করে দিয়েছে।
কী প্রসঙ্গে সায়নীর নাম আনলেন গোপাল দলপতি? কয়েক মাস আগে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন, শুনেছি একজন অভিনেত্রীর একটি ফ্ল্যাট ভেঙে দু’টি ফ্ল্যাট হয়েছে। তাঁকে একবার দেখতে চাই। তাঁর অভিনয়ও দেখতে চাই। সেদিন থেকেই কৌতূহল ছিল কে এই অভিনেত্রী। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই গোপাল দলপতি বলেন, কুন্তল সব কিছু চাপা দেওয়ার জন্য একএকদিন একএকটা নাম বলছেন।
হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও সেভাবেই বাজার গরম করার জন্য ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারেই দলপতি বলেন, ‘আমরা এজেন্সি মারফত ও সংবাদমাধ্যম সূত্রে এক অভিনেত্রীর কথা জেনেছি। যাঁকে কুন্তল দামি ফ্ল্যাট, বিলাসবহুল গাড়ি, ফার্নিচার কিনে দিয়েছেন। কই তাঁর নাম তো আসছে না!’ সাক্ষাৎকারে সেই সূত্রেই গোপাল দলপতিকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি জানেন কোন অভিনেত্রী? ইডি কিছু বলেছে? জবাবে গোপাল বলেন, ইডি তাঁর থেকে জানতে চেয়েছিল, কুন্তলের অফিসে তিনি যখন যেতেন তখন সায়নী ঘোষকে কখনও দেখেছেন কিনা।
সায়নী ঘোষ অভিনয় জগৎ থেকে রাজনীতিতে এলেও তাঁর গুরুত্ব অল্প সময়েই দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে শাসকদলে। বিধানসভায় অগ্নিমিত্রা পলের কাছে হারলেও যুব সংগঠনের সভাপতি করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। সেদিক থেকে গোপালের এই দাবি নিঃসন্দেহে তৃণমূলের জন্যও অস্বস্তির বলে মনে করছেন অনেকে।