বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Corruption) অভিযোগে ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছে যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তার কাছ থেকেই উঠে এসেছে গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) নাম। তারপরই গোপাল রহস্যভেদ করতে ময়দানে নামে তদন্তকারী সংস্থা। আর এই মধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে। চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ানোর পর নাম ভাঁড়িয়ে ‘আরমান গঙ্গোপাধ্যায়’ হয়ে যান গোপাল দলপতি। ঠিক এমনই খবর ডিরেক্টরেট সূত্রে।
‘আরমান’ নামেই নিজের যাবতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করেন গোপাল। তার আধার কার্ড, প্যান কার্ড-সহ যাবতীয় পরিচয়পত্র এসেছে ইডির হাতে। সেসব পরিচয়পত্র থেকেই নাম বদলের বিষয়টি সামনে আসে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গোপালের নাম উঠে আসার পর জেরার সময় ইডি আধিকারিকরা তার পরিচয়পত্র দেখতে চান। সেখানেই পরিষ্কার হয় সবটা। গোপালের পরিচয়পত্র দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন গোয়েন্দারা।
গোপালের যাবতীয় পরিচয়পত্রগুলিতে তার নাম গোপাল নয়। তার বদলে ছিল আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। এরপর জেরা করা হলে গোপাল তদন্তকারী অফিসারদের জানায়, তার বিরুদ্ধে চিটফান্ডের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নাকি সেবি (SEBI) তার যাবতীয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়। তাই তার পক্ষে আর গোপাল দলপতি নাম দিয়ে কোনো সংস্থা বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাও সম্ভব হচ্ছিল না।তাই গোপাল নাম ভাঁড়িয়ে তাই গোপাল পরিচয় গোপন করতেই আদালতে গিয়ে এফিডেফিট করে ‘আরমান গঙ্গোপাধ্যায়’ নাম করে নেন তিনি।
ইডির কাছে তার দাবি, নাম ভাঁড়িয়ে কাপড়ের ব্যবসা খুললেও সেই ব্যবসা ঠিক চলছিল না। যেহেতু তিনি ও তাপস একই এলাকার বাসিন্দা তাই তাপসের কাছে সাহায্যের জন্য পৌঁছায় গোপাল। এরপর সেই তাপসই গোপালকে হুগলীর ধৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সাথে পরিচয় করান। অন্যদিকে ইডির অভিযোগ, এই নাম ভাঁড়িয়েই একাধিক সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেন তিনি। সবটাই হত প্ল্যান মাফিক।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা তরফেই দাবি, গোপাল স্বীকার করেছেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। গোপাল জেরায় বলেন ,তার সামনেই ৯৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতায় কুন্তলের এক ‘কাকু’র হাতে টাকা দিতে হবে বলেও জানাতেন কুন্তল। তবে কে সেই ‘কাকু’, সেবিষয়ে ঠিক কিছু জানেননা বলেই তদন্তকারীদের জানান আরমান গঙ্গোপাধ্যায় (গোপাল)।