বাংলাহান্ট ডেস্ক: সারাদিনের পরিশ্রমের পর বিকেল থেকেই একটু ছুটি পান মা কাকিমারা। চায়ের কাপ হাতে অনেকেই এ সময়ে বসে পড়েন টেলিভিশনের সামনে। প্রিয় চ্যানেলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকে একের পর এক সিরিয়াল (Serial)। তার মধ্যেই চলে টুকটাক ঘরের কাজ। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জি বাংলায় সম্প্রচারিত হয় ‘গৌরী এলো’ (Gouri Elo), যা এই মুহূর্তে অনেকেরই প্রিয় সিরিয়াল।
ঈশান এবং গৌরী এই সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা। গৌরী দেবী মায়ের ভক্ত। মায়ের সঙ্গে আপন জনের মতোই কথা বলে সে। তার ভক্তি দেখে মন জুড়ায় সবার। অন্যদিকে পেশায় চিকিৎসক ঈশান নাস্তিক। ঠাকুর দেবতায় বিশেষ ভক্তি নেই তার। তবে স্ত্রী গৌরীর ভক্তি দেখে এখন একটু একটু করে মন বদলাচ্ছে তারও। অথচ গৌরী ঈশান কেউই জানে না, আসলে তারাই শিব ও শক্তির অংশ।
গৌরী এলো সিরিয়ালের কথা বলতে গেলে যাদের কথা না বললেই নয়, তারা হলেন শৈল মা এবং ধূর্জটি বাবা। শৈল মা মূল খলনায়িকা হলে ধূর্জটি বাবা হলেন তার ডান হাত। দর্শকরা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছেন, এই ধূর্জটি বাবা আসলে ছলচাতুরি করে ভক্তদের বোকা বানান। নকল রত্নের ব্যবসায় শৈল মায়ের পার্টনার তিনি।
ধূর্জটি বাবার আশ্রমে গিয়ে তার জারিজুরি ফাঁস করে গ্রেফতারও করিয়েছে গৌরী ঈশান। অত্যন্ত কুটিল এই চরিত্রটি গল্পের উত্তেজনা যেমন বাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি দর্শকদেরও চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে ধূর্জটি বাবা। অনেকে আবার তাঁর অভিনয় এবং সংলাপ বলার ধরণ দেখে বেজায় বিরক্ত।
কিন্তু তাঁর অভিনয় দক্ষতা যে সন্দেহের উর্দ্ধে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ধূর্জটি বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব গৌতম হালদার (Goutam Haldar)। নাটকের মঞ্চে তাঁর বলিষ্ঠ উপস্থিতি বহু বছর ধরে দর্শকদের করতালি পেয়ে আসছে। পাশাপাশি ছোটপর্দাতেও তিনি রয়েছেন বহুদিন ধরে।
‘জন্মভূমি’ সিরিয়ালের হাত ধরে টেলিভিশনে সফর শুরু গৌতম হালদারের। তারও আগে থেকে অবশ্য তিনি থিয়েটারের মঞ্চের নিয়মিত সদস্য। ১৯৮৬ সালে নাট্য প্রকাশ মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন গৌতম হালদার। শম্ভু মিত্র, শাঁওলি মিত্র, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তদের মতো তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
গৌরী এলোর আগে করুণাময়ী রাণী রাসমণি, মহাপীঠ তারাপীঠ সিরিয়ালেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল গৌতম হালদারকে। চরিত্র ইতিবাচক হোক বা নেতিবাচক সবেতেই নিজের অভিনয় প্রতিভার ছাপ রাখেন তিনি।