বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক অস্থিরতা গোটা বিশ্বের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তারপর বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসনভার গ্রহণ করেছে সে দেশের সেনা।
বাংলাদেশকে (Bangladesh) নিয়ে হায় হায় করছেন আদানি (Goutam Adani)
বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে। তবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত চিন্তিত নয়া দিল্লি। হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের সাথে ভারতের (India) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে গত কয়েক বছরে একাধিক চুক্তিও সেরেছে ভারত।
আরোও পড়ুন : প্রত্যেক বছর সেম ডেট! কেন পাল্টায় না বিশ্বকর্মা পুজোর দিন? নেপথ্যে আছে এক ‘বিশেষ’ কাহিনী
ভারতের (India) পক্ষ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে বাংলাদেশের গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ইত্যাদি খাতে। আর বাংলাদেশে (Bangladesh) ভারতের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম গৌতম আদানি (Gautam Adani)। নরেন্দ্র মোদির ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani) মোটা টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বাংলাদেশে।
আরোও পড়ুন : ধামাকাদার খবর! এবার এই রুটগুলিতে ছুটবে ৯ জোড়া স্পেশাল! পুজোর আবহে নয়া চমক রেলের
কয়লা, বিদ্যুৎ থেকে নৌবন্দর, একাধিক ক্ষেত্রে আদানিদের (Gautam Adani) বিনিয়োগ চোখে পড়ার মতো। ২০১৭ সালে হওয়া একটি চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে আগামী ২৫ বছরে ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রি করার কথা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথপুরে আদানির যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকে তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়।
তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি রীতিমত চিন্তায় ফেলছে আদানি গোষ্ঠীকে (Adani Group)। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম ও মংলায় বন্দর সম্প্রসারণের কাজে বাংলাদেশ কথা বলেছে ভারতের সাথে। রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম বন্দরটি। চীন ও আমেরিকা দীর্ঘদিন ধরে এই বন্দরের উপর নজর রেখে চলেছে। তবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই বন্দর সম্প্রসারণের কাজ কতটা অগ্রগতি পাবে তা নিয়েও চিন্তিত ভারত সরকার।
জানা যায়, বাংলাদেশের এই বন্দর সম্প্রসারণের কাজে যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে আদানির (Gautam Adani)। যেভাবে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত দিল্লি সরকার। আগামী দিনে যদি পরিস্থিতি আয়ত্তে না আসে তাহলে বিনিয়োগের ভবিষ্যত কী সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে।