বাংলা হান্ট ডেস্ক : অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াঙে ভারত-চিনা সেনার (Indo – China Clash) সংঘর্ষ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সংসদও। আজকের আলোচনায় উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। জানা যাচ্ছে, সরকার পক্ষের তরফে আলোচনার দাবি না মেনে নেওয়া হয়নি। তার জেরে আজ সংসদের বয়কট করার ডাক দেয় বিরোধী দলগুলি। শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই চিনের সঙ্গে সংঘাতের প্রসঙ্গে আলোচনার দাবিতে সরব হয় বিরোধীরা। সেই দাবি মানেনি সরকার পক্ষ। এই পরিস্থিতিতে এর আগেও সংসদ বয়কট করেছে বিরোধী সাংসদরা।
গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনা সেনা। প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে চলে আসে চিন। তাদের রুখে দেয় ভারতীয় সেনা। এই সংঘাতের জেরে কয়েকজন ভারতীয় এবং চিনা সেনার কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন। ভারতের তুলনায় চিনের বাহিনীতে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। বিশেষ সূত্রের জানা যাচ্ছে, সীমান্তে ভারতের প্রস্তুতি দেখে বেশ অবাক হয়ে হয়ে যায় চিন। এদিকে সেদিনের সংঘাতের ঘটনা ভারতের যে জওয়ানরা আহত হয়েছেন, তাঁদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে সংসদের উভয় কক্ষে এদিন বিবৃতি দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংসদে রাজনাথ সিং তাওয়াং সংঘাত নিয়ে বলেন, ‘আমি এই কক্ষকে জানাতে চাই যে আমাদের কোনও সৈন্য এই সংঘর্ষে মারা যায়নি এবং কেউ গুরুতর জখম হয়নি। ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের সময়মত হস্তক্ষেপের কারণে পিএলএ সৈন্যরা তাদের জায়গায় ফিরে যায়। ঘটনার পরে এলাকার স্থানীয় কমান্ডার ১১ ডিসেম্বর চিনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি পতাকা বৈঠক করেন এবং ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করেন। চিনা পক্ষকে এই ধরনের পদক্ষেপ করতে বারণ করা হয়েছে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
রাজনাথ সিং এদিন আরও জানান সমগ্র বিষয়টি নিয়ে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়েও তোলা হয়েছে। আমি হাউসকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের বাহিনী আমাদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এর বিরুদ্ধে যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে সর্বদা প্রস্তুত। আমি নিশ্চিত এই হাউস আমাদের বাহিনীর বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য এক কণ্ঠের পক্ষে থাকবে।’ তবে রাজনাথের এই সুবিশাল বক্তব্যে খুশি হয়নি বিরোধীদের। তাঁরা সরকারকে আরও জবাব চায়। এই পরিস্থিতিতে আপাতত সংসদ উত্তাল থাকবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।