বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার কারনে রাজ্যের অর্থভাণ্ডার তলানিতে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিলেন আর্থিক প্যাকেজ। এবার সেই দাবি মেনেই রাজ্যকে বরাদ্দ এপ্রিল মাসের কিস্তির টাকা মিটিয়ে দিচ্ছে অর্থমন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (narendra modi) সঙ্গে বৈঠকের আগেই ৩৪৬১ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
করোনা পিরিস্থিতিতে রাজ্যের আয় কমে ইতিমধ্যে তলানিতে ঠেকেছে। স্বাস্থ্য থেকে খাদ্য পরিষেবা খাতে ব্যয়ের পরিমান প্রতিদিনই দীর্ঘতর হয়ে চলেছে। যার ফলশ্রুতিতে স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের কোষাগারে এই মুহুর্তে অর্থের পরিমান অনেকটাই কম৷ তাই করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকারের কাছে বাড়তি অর্থ সাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা মোকাবিলায় সব রাজ্যকেই আর্থিক প্যাকেজ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সব রাজ্যের পরিস্থিতি সমান নয়৷ পরিস্থিতি বিচার করে তাই দ্বিতীয় দফার বৈঠকরে আগেই বাড়তি টাকা দেওয়ার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় কর থেকে প্রাপ্য রাজ্যের ৩৮৬১ কোটি টাকার কিস্তি মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও শুধু বাংলা নয়, ভারতের একাধিক রাজ্য পেতে চলেছে এই অনুদান।৪৬৩৮.১০ কোটি টাকা রাজ্যগুলির মধ্যে বণ্টন করা হবস। বাংলা ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকেও ৪১ শতাংশ টাকা দিতে বলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা পাচ্ছে উত্তর প্রদেশ ৪২৫৫.১৯ কোটি টাকা। তারপরে বিহার(৪৬১৩.৯৬ কোটি টাকা) এবং মধ্যপ্রদেশ(৩৬৩০.৬ কোটি টাকা)।
প্রসঙ্গত, ২৭ তারিখের বৈঠকে ঠিক হবে দেশে লকডাউনের ভবিষ্যৎ। তবে পরিস্থিতি বিচার করে সারা ভারতজুড়ে লকডাউন এক্ষুনি তুলে নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে না।