বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৭ জুন শেষ হবে ‘সুপ্রিম সময়সীমা’। এই সময়কালের মধ্যেই বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫% মেটাতে হবে সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে একাধিক রিপোর্টে দাবি, ঋণ নিতে পারে রাজ্য। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, নিলামে ৪০০০ কোটির ঋণ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বকেয়া ডিএ (DA) মেটানোর জন্যই এই ধার নেওয়া হয়েছে কিনা সেই নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। এমতাবস্থায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় (Malay Mukhopadhyay)।
ডিএ (Dearness Allowance) মেটাতে ঋণ নেওয়ার কোনও দরকার নেই, দাবি মলয়ের
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মী ও রাজ্য সরকারের মধ্যে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বহুদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। সম্প্রতি বকেয়া ডিএ-র ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৭ জুনের মধ্যে এই কাজ করতে হবে রাজ্যকে। এই আবহে একাধিক রিপোর্টে দাবি, সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে ঋণ নিতে পারে সরকার। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন মলয়।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। লেখেন, ‘’ডিএ দিতে বাজার থেকে সরকারকে ঋণ নিতে হচ্ছে’, একথা সরকার প্রচার করে প্রকারান্তে সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ মানুষের কাছে ‘হেয়’ প্রতিপন্ন করতে চাইছে। রাজ্যের মানুষকে এই বার্তা দিতে চাইছে, দেখুন উন্নয়ন বন্ধ রেখে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে বাজার থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে’।
আরও পড়ুনঃ বছর ঘুরলেই বাংলায় ভোট! তার আগে নির্বাচনের ছবি, ভিডিও সংরক্ষণ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কমিশন
সরকারি কর্মীদের (Government Employees) এই নেতার দাবি, আদতে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে সরকারের ঋণ নেওয়ার কোনও দরকারই নেই। কারণ রাজ্যের কাছেই এই অর্থ গচ্ছিত আছে।
মলয় লেখেন, ‘ডিএ দিতে ঋণের কোনও প্রয়োজনই নেই। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ না দেওয়ার টাকা সরকারের কাছেই গচ্ছিত আছে’।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হিসেব বলছে, জুনের ২৭ তারিখ শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। অর্থাৎ আর কয়েকদিনের মধ্যেই এই সংক্রান্ত ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।