বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) বেতন সংশোধনের জন্য অষ্টম বেতন কমিশনে (8th Pay Commission) অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৬ সালের মধ্যেই অষ্টম পে কমিশন গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যা নিয়ে অত্যন্ত খুশি সরকারি কর্মীরা। সূত্রের খবর, নয়া পে কমিশনের জেরে সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা।
কবে বকেয়া হাতে পাবেন সরকারি কর্মীরা? Government Employees
নয়া পে কমিশনের ঘোষণার পর একদিকে যেমন খুশিতে ভাসছেন সরকারি কর্মীরা বকেয়া ডিএ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কোভিড অতিমারীর সময় জরুরিকালীন ভিত্তিতে সরকারি কর্মীদের ডিএ বন্ধ করেছিল সরকার। এই নিয়ে আগেও একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এবার ফের এই ইস্যু তুলল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কনফেডারেশন।
বকেয়া ডিএ কবে মিলবে? আগেই এই প্রশ্ন বারবার তুলছেন কর্মীরা। করোনাকালে তিন কিস্তির অর্থাৎ ১৮ মাসের ডিএ বন্ধ রাখা হয়েছিল। সরকারের উপর আর্থিক চাপ থাকায় সেই সময় ২০২০ সালের দু’টি এবং ২০২১ সালের একটি ডিএ কেন্দ্রীয় কর্মীদের দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা ভাবা হবে। যদিও এই নিয়ে নিশ্চিত কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।
গত বছর বকেয়া ডিএ ও ডিআর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠান ন্যাশনাল কাউন্সিল (এমপ্লোয়িজ সাইড) জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির সচিব গোপাল মিশ্র। সেই সময় শোনা গিয়েছিল সরকার তরফে নাকি এই বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মিলেছে। যদিও সরকার তরফে কিছু বলা হয়নি। এরই মধ্যে নয়া পে কমিশনের ঘোষণায় আরও আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে মেগা বৈঠকে অভিষেক! থাকবেন ৪৫০০ প্রতিনিধি! কী বার্তা দেবেন?
ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছেন সরকারি কর্মীরা। এখন দেখার বিষয় সরকার আদৌ তাদের বকেয়া মেটায় কী না। উল্লেখ্য, ওই তিন দফার ডিএ যদি সত্যিই না দেওয়া হয় তাহলে সবথেকে লাভবান হবে অর্থমন্ত্রক। যদি প্রত্যেকবার কম করে ৩ শতাংশ করেও ডিএ বৃদ্ধি করা হত তাহলে কমপক্ষে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত চাপ পড়ত মোদী সরকারের উপর। ওই বকেয়া ডিএ না দেওয়া হলে কেন্দ্রের অন্তত ৩০ হাজার কোটি টাকা বেঁচে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে।