হঠাৎ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে গোলমাল! ৩-৪ দিনে সত্যিই আসবে টাকা? চিন্তায় সকলে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রযুক্তিগত ত্রুটি! যার জেরে বিহারে বেতনই পাচ্ছেন না রাজ্য সরকারি কর্মীরা (Government Employees)। সম্প্রতি এমনই তথ্য সামনে এসেছিল ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্টে। আসলে চলতি বছর শুরুতেই সে রাজ্যের সরকার (State Government) ‘কমপ্রিহেনসিভ ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ২.০’ চালু করেছিল। এই থেকেই বিপত্তি। নয়া সফটওয়্যার সিস্টেমে সমস্যা থাকায় প্রায় ৮ লক্ষ কর্মীর বেতন আটকে যায়।

সমস্যা সমাধানের আসায় সরকারি কর্মীরা- Government Employees

জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরে বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী এবং শিক্ষকদের বেতন এবং অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন আটকে গেছে। সম্প্রতি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে খোদ মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের বিধায়ক, মন্ত্রীরাও সময় মতো বেতন পাননি। ৩ লাখ আঞ্চলিক কর্মী, ৫ লক্ষ শিক্ষক, ৫০ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মীও ডিসেম্বর ও জানুয়ারির বেতন পাননি বলে জানা গিয়েছিল।

এরই মধ্যে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুখ্য সচিব একটি পর্যালোচনা সভা করেন। সেখানে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা আশ্বাস দেন যে সমস্যাটি প্রায় সমাধান করা হয়েছে এবং এখন বেতন দেওয়া শুরু হচ্ছে। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদেরও এই নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়।

এদিকে এই সফটওয়্যার সমস্যার জেরে গতবছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিহারের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন পাননি। যা বকেয়া ছিল। সেপ্টেম্বর মাসে বকেয়া বেতন এবং পেনশন প্রদানের জন্য বিহার সরকার ২৬৫০ কোটি টাকা ছেড়েছিল। সরকার তরফে দাবি করা হচ্ছে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের বেতন শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে। যা আগামী ৩-৪ দিনে তারা হাতে পেয়ে যাবেন। সমস্যা সমাধানের অপেক্ষায় সরকারি কর্মীরা।

govt employees 4

আরও পড়ুন: আজ শিলা বৃষ্টি ৬ জেলায়, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝেঁপে বৃষ্টি: আবহাওয়ার খবর

উল্লেখ্য, প্রতি মাসে কর্মীদের বেতন দিতে বিহার সরকারের ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এই আগে ২০১৯ সালে কমপ্রিহেনসিভ ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করেছিল সে রাজ্যের সরকার। সেই পদ্ধতিরই নবতম সংস্করণ চালু করা হয় চলতি বছরে। তবে এখনও সমস্যা মেটেনি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর