বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees) বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) ২৫% মেটাতে হবে। গত ১৬ মে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । সপ্তাহখানেকের মধ্যেই শেষ হতে চলেছে সেই সময়সীমা। কিন্তু তার আগেই রাজ্যের (Government of West Bengal) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সরকারি কর্মীদের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য, নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মচারীদের ‘ভিলেন’ বানানোর চেষ্টা করছে সরকার।
দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে টানাপড়েন চলছে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পর সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫% মেটানোর জন্য ঋণ নিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সরকারি কর্মীদের একাংশের অবশ্য দাবি, বকেয়া ডিএ মেটানোর মতো টাকা রাজ্যের কাছে আছে। ঋণ নেওয়ার কোনও প্রয়োজই নেই।
এই বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, ‘সাসপেন্স ও মিসেলেনিয়াস অ্যাকাউন্টে হেডে ১১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা আছে। (এই অবস্থায়) ডিএ দেওয়ার জন্য (রাজ্যের) ঋণ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না’। তাঁর দাবি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫% দিতে গেলে যে টাকা দরকার, তার থেকে অনেক বেশি টাকা রাজ্যের কাছে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘অনেক নাম বেরোতে পারে, মুখ বন্ধ করতে টাকা দিতে চেয়েছিল’! ভাতার উপর স্থগিতাদেশের পর বিস্ফোরক শামিম
একই দাবি করেছেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বকেয়া ডিএ-র (DA) ২৫% মেটাতে রাজ্য ঋণ নিচ্ছে, এর মাধ্যমে জনগণের মাথায় একটি ভ্রান্ত ধারণা ঢুকিয়ে দিতে চাইছে সরকার। বোঝাতে চাইছে, সাধারণ মানুষের উন্নয়ন আটকে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা মেটাচ্ছে রাজ্য। তবে তাতে কোনও লাভ হবে না বলে দাবি করেছেন মলয়। ‘কর্মচারী সমাজ (রাজ্যের) চালাকি বুঝে গিয়েছে’, বলেন সরকারি কর্মীদের এই নেতা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এদেশের সর্বোচ্চ আদালত। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। সেই হিসেবে আগামী ২৭ জুন ডেডলাইন শেষ হচ্ছে। তার আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ আনলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ঋণ নেওয়ার কথা প্রচারিত হলেও, বকেয়া ডিএ মেটানোর টাকা রাজ্যের কাছে আছে বলে দাবি তাঁদের।