বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) বকেয়া মেটানোর দাবিতে সারা রাজ্য জুড়ে চলছে আন্দোলন। লাগাতার আন্দোলনেরর জেরে এবার সরকার চাপে পড়তে বাধ্য হয়েছে। এদিকে, কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার পরেই নবান্নের তরফে (Nabanna) জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই পাল্টা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পেনশনাররা। মুখ খুলেছেন আন্দোলনকারী সংগঠন কনফেডারেশনের নেতারাও। শুধু তাই নয়, আন্দোলনকারীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকারের উপর চাপ বাড়তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয়ে উঠেছে নবান্ন। শনিবার সন্ধ্যায় সরকারের তরফে কর্মবিরতি রোখার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই নোটিশে পরিস্কার বলা হয়, কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এবং ২১ ফেব্রুয়ারি কোনও ছুটি পাবেন না সরকারী কর্মচারীরা। যে সরকারি কর্মচারীরা এই দু’দিন ছুটি নেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ওই দু’দিন কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে। শুধু তাই নয়, যদি কেউ ছুটি নিয়ে থাকেন তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও শো-কজ নোটিশও জারি করবে রাজ্য সরকার।
নবান্নের তরফে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, “ডিএ বঞ্চনার শিকার আমরা। তা সত্ত্বেও সরকার হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। কর্মীরা প্রায় ২২ দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। তবে সরকার একবারও তাঁদের ডেকে কথা বলার প্রয়োজন মনে করছে না। আসলে সরকার ভয় পাচ্ছে, যে এই আন্দোলন বড় আকার ধারণ করতে পারে। সেই কারণেই এই ধরনের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে।” তবে, সরকারের তরফ থেকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হলেও তারা যে পিছু হটবেন না একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রের সমান হারে ডিএ দেওয়ার দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংঘাত চলছে রাজ্য সরকারী কর্মচারী ও পেনশনারদের। অনশন, অবস্থান, বিক্ষোভ চলার পাশাপাশি দফায় দফায় কয়েক ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেছিলেন তারা। কিন্তু, তাতেও মন গলেনি সরকারের। এবার সরাসরি দুদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা হতেই কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যত হয় নবান্ন। আন্দোলনকারীরা সাফ জানাচ্ছেন, টানা দু’দিন কর্মবিরতির পরও যদি সরকারের হুঁশ না-ফেরে এবং বকেয়া ডিএ মেটানো না হয়, তাহলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে সামিল হবেন সবাই।