বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু অপেক্ষার পর অষ্টম পে কমিশনের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী (Government Employees) এবং পেনশনভোগীদের অষ্টম বেতন কমিশনের (8th Pay Commission) অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পয়লা জানুয়ারি ২০২৬ থেকে অষ্টম পে কমিশন গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এই দিন থেকেই নয়া পে কমিশন কার্যকর হবে।
সরকারি কর্মচারীদের অষ্টম পে কমিশন নিয়ে সুখবর | Government Employees
রিপোর্ট বলছে, নয়া পে কমিশনে সরকারের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২.৮৬ হতে পারে। যদি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ থাকে, তাহলে ন্যূনতম বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা হতে পারে আর পেনশন ৯০০০ টাকা থেকে একধাক্কায় বেড়ে হতে পারে ২৫,৭৪০ টাকা।
সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম মূল বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে এক লাফে হতে পারে ৪১,০০০ থেকে ৫১,৪৮০ টাকার মধ্যে হতে পারে বলা হচ্ছে। পেনশনভোগীদের ন্যূনতম পেনশন ৯,০০০ টাকা থেকে বেড়ে হতে পারে ২০,৫০০ থেকে ২৫,৭৪০ টাকা।উল্লেখ্য, সপ্তম বেতন কমিশনের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭। সেই সময় ন্যূনতম মূল বেতন ৭,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮,০০০ টাকা হয়েছিল। ষষ্ঠ বেতন কমিশনে তা ছিল ছিল ১.৯২।
প্রসঙ্গত, বেতন সংশোধন মূলত ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর’ এর উপর নির্ভর করে। এই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর হল বর্তমান মূল বেতনের জন্য প্রয়োগ করা একটি গুণক। নয়া পে কমিশন কার্যকর হলে প্রায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের রেল, প্রতিরক্ষা, ডাক, শিক্ষক এবং অন্যান্য পদের উপর প্রভাব ফেলবে নয়া পে কমিশন।
আরও পড়ুন: জেলে যেতে পারেন কুণাল ঘোষ? ‘চাপে’ পড়ে এ বার মুখ খুললেন নেতা, বললেন, আমি বেরিয়ে আসব…
অষ্টম পে কমিশনে সংশোধিত ও পরিমার্জিত হবে কর্মীদের বেসিক পে, সহ বিভিন্ন অ্যালোয়েন্স বা ভাতা। যেমন মহার্ঘ ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, মেডিক্যাল অ্যালোয়েন্স, চিল্ড্রেন এডুকেশন এবং এইচআরএ, সবই সংশোধিত হবে। উপকৃত হবেন চাকুরীজীবি ও পেনশনভোগীরা। বেতন কাঠাময় আমূল পরিবর্তন আসবে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/YuScrPMJpmE?si=gQ0sQ2KqRdDqIieF
অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পরে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটি বাস্তবায়ন হতে ২০২৬ বা তার বেশি সময় লাগতে পারে বলে ধারণা। পে কমিশন বাস্তবায়নের জন্য একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয় যাতে কেন্দ্রীয় কর্মচারী সংগঠন এবং বিভাগগুলি থেকে পরামর্শ নেওয়া হয়। তারপর মন্ত্রিসভার অনুমোদনের নিয়ে তা বাস্তবায়িত হয়।