বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর মাসের ১ তারিখে বেতন পাবেন না সরকারি কর্মচারীরা (Government employees)? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দাবির পর এই নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেরি করে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিলে রাজ্য সরকারের (State Government) অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু কিভাবে? তিনি জানান, যদি সরকারি কর্মীদের দেরি করে বেতন দেওয়া হয় তাহলে সুদ মেটানোর ক্ষেত্রে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের তিন কোটি টাকা কম লাগবে। অর্থাৎ তিন কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এভাবেই এক বছরের হিসেব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সরকারি কর্মীদের দেরি করে বেতন দেওয়া হলে এক বছরে ৩৬ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের। অর্থাৎ নিয়ম মতো এক তারিখ বেতন না দিয়ে তার পরে বেতন দিলে অনেকটাই টাকা বাঁচানো যাবে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কীভাবে ভালোভাবে সম্পদ ব্যবহার করা যেতে পারে, কতটা খরচা হয় এই সকল বিষয় বিবেচনা করতেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দেরিতে বেতন দেওয়া হয়েছে।
একই ভাবে অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পেনশনও দেরিতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এ বাংলার ঘটনা নয়। আসলে সম্প্রতি কর্মীদের বেতন নিয়ে বিধানসভায় বড় দাবি করেছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। তার কথায়, ‘১ তারিখ বেতন দেওয়ায় ৭.৫ শতাংশ সুদের হারে বাজার থেকে টাকা ধার নিতে হয়। যদি দেরিতে বেতন দেওয়া হয় তাহলে সুদ বাবদ যে টাকা দিতে হয়, তার থেকে প্রতি মাসে তিন কোটি করে বাঁচানো যাবে। বছরে যা হবে ৩৬ কোটি।’
আরও পড়ুন: শেষরক্ষা হল না! সন্দীপ মামলায় অবশেষে বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, তোলপাড় রাজ্য
সে রাজ্যের সরকার তরফে আরও জানানো হয়েছে প্ৰতি মাসে সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে ১,২০০ কোটি টাকা খরচা হয় আর পেনশনভোগীদের পেনশন দিতে খরচ হয় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ সবমিলিয়ে মাসে মোট ২,০০০ কোটি টাকা খরচ হয় বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এবার থেকে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে মাসের ৫ তারিখে। আর পেনশনভোগীদের পেনশন দেওয়া হবে মাসের ১০ তারিখে।