বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকা প্রায় ৪০ কোটি মানুষের জন্য এক নতুন স্বাস্থ্য পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে কেন্দ্র সরকার। এই কারণে সরকার ২১ টি বিমা কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেছে। এই পাইলট প্রকল্প শুরুর আগে সরকার ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করছে।
বর্তমান সময়ে দেশের প্রায় ৫০ কোটি দরিদ্র পরিবার প্রধানমন্ত্রীর জন আরোগ্য যোজনার সুবিধা পাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকার বিমার কভারেজ পেয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার আরও ৪০ কোটি দেশবাসীকে ‘PMJAY ক্লোন কভার’ দেবে সরকার। যারা সরকারী কোন চিকিৎসা কভারেজের আওতায় পড়ছে না, তাঁদের পক্ষে এই প্রকল্প ভীষণই সুবিধাজনক হবে।
PMJAY স্কিমে ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষ ছাড়াও ৩ কোটি মানুষ রাজ্যে পৃথক পৃথক স্কিমের আওতায় রয়েছে। ১৫-১৭ কোটি ECHS, ESCI, CGHS কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আয়ত্তাভুক্ত। তবে দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ তাদের নিজস্ব ব্যয়ে বেসরকারি কোম্পানিতে বীমা পাওয়ার পথ বেছে নিয়েছে।
এসবের পরও দেশের প্রায় ৪০ কোটি মানুষ বাদ পড়ে যায় চিকিৎসা ব্যবস্থার আয়ত্তা থেকে। এই ধরনের মানুষদের ‘মিসিং মিডল’ বলা হয়। এই ধরনের মানুষেরা সাধারণত নিজেরা বীমা কিনতে পারে না কিংবা সরকারী স্কিমের সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। সরকার মনে করছে, করোনাকালে চিকিৎসা কভার না থাকার কারণে এই সকল মানুষ দারিদ্র্যের শিকার হতে পারে।
তালিকাভুক্ত করা ২১ টি কোম্পানির মধ্যে নাম রয়েছে ম্যাক্স বুপা হেলথ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, রয়েল সুন্দরম জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এবং অনেক বড় কোম্পানি।