বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশের মহিলাদের সক্ষম করে তুলতে সরকার বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করে। এগুলির মাধ্যমে কন্যা সন্তানদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে তাদের বিয়ে পর্যন্ত পিতা-মাতাদের অর্থনৈতিক ভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়। এমনই একটি বিশেষ প্রকল্পের নাম হল লাডলি যোজনা (Ladli Scheme)।এই প্রকল্পের সাহায্যে, কন্যা সন্তান এবং তাদের অভিভাবকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে সরকার মেয়েদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার খরচ দেয়। এর পাশাপাশি কন্যা সন্তানের জন্মের জন্য পিতা-মাতাকে ১১,০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। বর্তমান প্রতিবেদনে এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হল।
যে সমস্ত কন্যা সন্তান দিল্লির হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছে তারাই এই স্কিমের সুবিধা পেতে পারে। দিল্লির হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করা কন্যা সন্তানদের সরকার কর্তৃক ১১,০০০ টাকা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দিল্লিতে কন্যা সন্তান জন্মালেই দেওয়া হয় ১০,০০০ টাকা।এই সমস্ত টাকা শিশুটির নামে খোলা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কন্যা সন্তানের ১৮ বছর হয়ে গেলে সে নিজেই টাকাটি তুলতে পারে। সে ব্যতিত পরিবারের অন্য কেউ এই টাকা চাইলেও তুলতে পারবেন না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, সরকার কন্যা সন্তানদের সক্ষম করতে এবং রাজ্যে কন্যা ভ্রূণ-হত্যা বন্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
এছাড়াও, এই স্কিমের সৌজন্যে কন্যা সন্তানদের পড়াশোনার সময়ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। যার ফলে মেয়েদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার খরচ নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকেন অভিভাবক-অভিভাবিকারা। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হলেই পাওয়া যায় ৫,০০০ টাকা। তারপরে ষষ্ঠ শ্রেণি, নবম শ্রেণি, দশম শ্রেণি এবং দ্বাদশ শ্রেণি প্রত্যেকটি ধাপেই ৫,০০০ টাকা করে পায় ছাত্রীরা।
তবে, মনে রাখতে হবে যে, এই স্কিমের অধীনে সব মেয়েকেই ১ লক্ষ টাকার সাহায্য দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে। যাদের জন্মের সময় আবেদন করা হয়েছে এবং প্রথম, ষষ্ঠ, নবম, দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিটি ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতিবার নবীকরণ করা হয়েছে শুধুমাত্র তারাই এই ১ লক্ষ টাকার সহায়তা পান।
পাশাপাশি, এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, কন্যা সন্তানের জন্ম অবশ্যই দিল্লিতে হতে হবে এবং তার বাবা-মায়ের বার্ষিক আয় ১ লক্ষ টাকার বেশি হওয়া যাবে না। একটি পরিবারের ক্ষেত্রে দু’জন মেয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারে।লাডলি স্কিমের সুবিধা নিতে কন্যা সন্তানের ন্যূনতম ৩ বছরের জন্য দিল্লির রেসিডেন্স সার্টিফিকেট, পিতা-মাতার ইনকাম সার্টিফিকেট ও আধার কার্ড এবং কন্যা সন্তানের কাস্ট সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।
এই স্কিম উপলব্ধ করতে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সরকারী বা স্বীকৃত স্কুল এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের অফিসে আবেদন করা যাবে। এছাড়াও, SBI বা সংশ্লিষ্ট WCD জেলা অফিসের টোল ফ্রি নম্বরেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।