বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও চাকরির লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। এর আগেও চাকরির নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সাম্প্রতিক সময়ে বহু বার দেখা গিয়েছে। এবার আরও একবার ঘটল সেই ঘটনা। এবার বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ায়। অভিযোগের তির আগের মতোই ল স্থানীয় এক তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে হৃদয় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দুই লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন। আর এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা চড়াও হন ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পরে মুচলেকা দিয়ে এক ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন ওই তৃণমূল নেতা। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার দেহিরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগডোলা গ্রামে। ঘটনার চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে ভালোই পরিচিতি রয়েছে হৃদয় মুখোপাধ্যায়ের। তিনি আবার দেহিরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যও। অভিযোগ, ২০১৭ সালে প্রাথমিক টেটে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ওই ব্যক্তি এক চাকরিপ্রার্থীর থেকে টাকা নেন। প্রথমে ২ লক্ষ টাকা তিনি চেয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। পরে সেই টাকার অঙ্ক আরও বাড়ে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ওই তৃণমূল নেতা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ওই চাকরিপ্রার্থী তাঁর কাছে গিয়ে বলেন, তাঁর আর চাকরি লাগবে না এবং তিনি ওই টাকা ফেরত চান। কিন্তু সেই সময় তিনি প্রায় ১ লক্ষ টাকা ফেরতও দেন বলে খবর।
বাকি ২ লক্ষ টাকার বেশি অঙ্ক এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি। পরে হৃদয় জানান, বাকি টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা তিনি ফেরত দেবেন। কিন্তু বাকি টাকা আর ফেরত দিতে পারবেন না। সেটিও মেনে নেন ওই চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু তারপর এখনও সেই ১ লাখ টাকা আর ফেরত পাওয়া যায়নি। কার নাম করে টাকা নিয়েছিল ওই তৃণমূল নেতা? চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, ‘কারও নাম করে টাকা নেয়নি। কিন্তু বলেছিলেন, আমার হাত আছে। আমাকে টাকা দেওয়া হোক, আমি করে দেব।’
এরপরই শুক্রবার দুপুরে ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও হন ওই চাকরিপ্রার্থী এবং স্থানীয় কিছু মানুষ। চাপের মধ্যে পড়ে হৃদয় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই তৃণমূল নেতা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওই টাকা ফিরিয়ে দেবেন বলে একটি মুচলেকা লিখে দেন। এদিকে ওই তৃণমূল নেতা যদিও প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি টাকা নিয়েছিলাম ধার হিসেবে। এক লাখ টাকা নিয়েছিলাম। চাকরি দেওয়ার নাম করে নয়, ধার হিসেবে নিয়েছিলাম।’ যদিও ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও পুলিসে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।