বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে ২৪ প্রায় শেষ। দু’মাস পরই নতুন বছর শুরু। এরই মধ্যে আগামী অর্থবর্ষের বাজেটের (Budget) প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাজেট প্রস্তাবের প্রোফর্মা পাঠানোর জন্যে ইতিমধ্যেই সব দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ দফতর। ১১ নভেম্বরের মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাবের প্রোফর্মা পাঠানোর নির্দেশ।
২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে। আর তার আগে আগামী বাজেট শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হবে ভোটের আগে। তাই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকেই বাজেটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারী মাসে রাজ্যের বাজেট পেশ হবে। বিধানসভা ভোটের আগে সেই বাজেটে একাধিক চমক থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতবছর বাজেটে ডিএ বেড়েছিল সরকারি কর্মীদের। এবারেও ডিএ বৃদ্ধি হবে সেই আশায় বসে রয়েছেন সরকারি কর্মীরা। জানা গিয়েছে গতবছর বাজেটে মহার্ঘ ভাতা বাড়ার কোনো কথা ছিল না, সরকারের (Government of West Bengal)। কিন্তু বাজেট পেশ চলাকালীনই অর্থপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাছে চিরকুটে লিখে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই বাজেট বাড়ানোর উল্লেখ ছিল।
গত বাজেটে ৩% ডিএ বেড়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এরপর অবশ্য আরও দু’দফায় ডিএ বেড়েছে সরকারি কর্মীদের। প্রথমে ২০২০ সালে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হয়। তারপর বাজেটে ৩% মহার্ঘ ভাতা বাড়ে। এরপর ২০২৪ সালের মার্চে ৪ এবং এপ্রিল মাসে আরও চার শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়। বর্তমানে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
তবে এই পরিমাণ ডিএ (DA) পেয়ে একেবারেই খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকাংশ। বহুদিন ধরে তাদের একটা অংশ কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবি করে আসছে। সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত ডিএয়ের হার ৫০ শতাংশ। তবে পুজোর মধ্যেই ফের ডিএ বাড়তে চলেছে তাদের। এবারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ ৫৩-৫৪ শতাংশে পৌঁছে যাবে। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত ডিএ-র পরিমাণ ১৪ শতাংশ।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা