বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে একাধিক পথ দুর্ঘটনার (Road Accident) খবর সামনে এসেছে। এবার তাতে লাগাম টানতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার (Government of West Bengal)। কলকাতা সহ সমগ্র বাংলা জুড়ে নতুন করে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হয়েছে। এবার সেই উদ্যোগ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানান প্রশ্ন।
সরকারের (Government of West Bengal) উদ্যোগ নিয়ে কী প্রশ্ন উঠছে?
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের (Chief Secretary Manoj Pant) দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শহরে যানবাহন চলাচল করার গতি তিনটি ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নয়া মাপকাঠি অনুযায়ী, ভিআইপি রোড, বাইপাসের মতো রাস্তাগুলি, যেখানে সহজে সাধারণ মানুষের পারাপার সহ নানান কারণে যানবাহনের গতি বাধার সম্মুখীন হবে না, সেখানে গতিবেগ হবে ৫০ কিমি/ঘণ্টা।
রাজ্যের যে সকল রাস্তায় সাধারণ মানুষের পারাপার বেশি, ঘিঞ্জি রাস্তাগুলিতে গাড়িত গতিবেগ থাকবে ৩০ কিমি/ঘণ্টা। এর মধ্যবর্তী জায়গাগুলিতে ৪০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ রাখা যাবে। তবে স্কুল, হাসপাতাল রয়েছে এমন জায়গায় গাড়ির গতিবেগ নামিয়ে আনতে হবে ২৫ কিমি/ঘণ্টায়। রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ ফের ‘হাওয়া বদল’! একধাক্কায় ২ ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা! সংক্রান্তিতে কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?
অনেকের মতে, পথ দুর্ঘটনার একটি কারণ যদি যানবাহনের অধিক গতিবেগ হয়, তাহলে অন্যটি ফুটপাথে না উঠতে পেরে পথচারীদের রাস্তা দিয়ে হাঁটা। গত শুক্রবার বড়বাজারে মিনিবাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন প্রৌঢ়া। আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। মিনিবাস আসছে দেখেও তাঁরা পালানোর রাস্তা পাননি বলে খবর। কারণ সেখানে যে ফুটপাথ রয়েছে সেখানে চলাফেরা করাই মুশকিল। এই ফুটপাথের নিয়ে রাজ্যের তরফ থেকে কোনও ‘সদর্থক’ ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শুধুমাত্র বড়বাজার নয়, শহর কলকাতার একাধিক জায়গায় গেলে দেখা যাবে ফুটপাথের এই ছবি। এই নিয়ে রাজ্যের (Government of West Bengal) তরফ থেকে কোনও ‘সদর্থক’ ভূমিকা না নেওয়া হতেই নানান প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এদিকে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ সম্বন্ধে বলেন, ‘এই প্রথম রাজ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। খড়গপুর আইআইটি পরিকল্পনা করেছে। দুর্ঘটনা ঘটলেও জেলার তুলনায় কলকাতায় মৃত্যুর হার কম। সেই কারণে রাজ্যে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এদিকে শ্যামবাজার, বড়বাজার সহ উত্তর ও মধ্য কলকাতার নানান জায়গায় স্থানীয় নেতাদের মদতে ফুটপাথ দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্যার সমাধান করার বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি রাজ্যের মন্ত্রী।