বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কৃষকদের সহায়তা করার জন্য রাজ্যের তরফ থেকে মাঝেমধ্যেই নানান উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসে ফসল কেনা। যদিও এই নিয়ে বহুদিন ধরেই নানান অভিযোগ উঠছে। সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ওজনের সমস্যা নিয়ে খাদ্য দফতরের কাছে বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল। এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)।
দুর্নীতি দমনে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের (Government of West Bengal)!
বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের নানান ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে রেশন, বাদ যায়নি কিছুই! এসবের মাঝেই রাজ্যে সহায়ক মূল্য দিয়ে ধান কেনাবেচার ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে, এবার প্রত্যেকটি ধান ক্রয় বিক্রয় কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি রাজ্যের কৃষকদের জন্য আরও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার (Government of West Bengal)। তাঁদের আর্থিক উন্নতির কথা ভেবে নয়া ভাতা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই ভাতার নাম উৎসাহ ভাতা। জানা যাচ্ছে, কোনও কৃষক যদি সরকারি সংস্থায় নিজের ধান বিক্রি করেন, তাহলে তিনি প্রত্যেক কুইন্টাল চালের জন্য বাড়তি ২০ টাকা করে পাবেন।
আরও পড়ুনঃ ৪টের পরেই পাল্টে যাবে আবহাওয়া? কখন, কটায় ‘দুর্বল’ হবে দানা? বড় আপডেট দিল হাওয়া অফিস
এগুলির পাশাপাশি চলতি বছর ধানের সহায়ক মূল্যও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে প্রত্যেক কুইন্টালের জন্য ২১৮৩ টাকা করে দেওয়া হতো। এখন সেই অঙ্কটা ২৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে উৎসাহ ভাতা যোগ করে দিলে কৃষকরা ২৩২০ টাকা করে পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন, ই-প্যাডি সাইটে রেজিস্টার করানো কৃষকরাই (Farmers) স্রেফ সরকারি সংস্থায় ধান বিক্রি করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর খারিফ মরসুমে রাজ্যের (Government of West Bengal) তরফ থেকে ৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। বেনফেড, নাফেড এবং কনফেডের মাধ্যমে এতদিন ধান কেনাবেচা হতো। তবে এখন এর সঙ্গে আরও দু’টি সংস্থা যোগ হয়েছে। এবার সংশ্লিষ্ট তিন সংস্থার পাশাপাশি WBECSC এবং BPAMCL-এর মাধ্যমে খাদ্য দফতর ধান ক্রয়বিক্রয় করবে।