বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর থেকে কর্মবিরতিতে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। একাধিকবার কাজে ফেরার কথা বলেও কিছু হয়নি। সোমবার অবশ্য ডেডলাইন বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের ফের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের (Government of West Bengal) মুখ্যসচিব।
ডাক্তাররা কাজে না ফিরলে কী হবে (Government of West Bengal)?
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। সেখানে ফের একবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথা বলেন তিনি। এরপর রাজ্যের নবনিযুক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও এই নিয়ে মুখ খোলেন। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে কী হবে? জানান তিনি।
- কী বললেন রাজ্যের মুখ্যসচিব?
গতকাল নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতিম সরকার এবং আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যের (Government of West Bengal) মুখ্যসচিব বলেন, সুপ্রিম কোর্ট এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন, তাঁদেরও সেই একই অনুরোধ। সবাই কাজে যোগ দিন।
আরও পড়ুনঃ আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দিতেই ঘুরে গেল ‘খেলা’! আরও বিপাকে সন্দীপ? চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ED
মনোজ (Manoj Pant) জানান, হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই পরিষেবা দ্রুততার সঙ্গে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। যারা মানুষকে পরিষেবা দেব, তাঁরাও যেন যথাযথ পরিষেবা পান, সেটাই লক্ষ্য বলেন জানান মুখ্যসচিব। একইসঙ্গে বলেন, হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা হচ্ছে। দরকার পড়লে যারা সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে ডাক্তাররা কাজে না যোগ দিলে কী হবে? জবাবে রাজ্যের (Government of West Bengal) মুখ্যসচিব বলেন, ‘এটা ধরে নিয়ে তো কোনও লাভ নেই। বরং আমরা বিশ্বাস করছি, ওনারাও আমাদের অংশ। ওনারা কাজে ফিরে আসুন, এটাই আমরা চাই। আমাদের আশা, ওনারা ফিরবেন’।
চিকিৎসকদের সুরক্ষা প্রদান নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও। তিনি বলেন, ‘ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ বাহিনী তৈরি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করতে হাসপাতালের তরফ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি আমরা। হাসপাতালের নিজস্ব সিকিউরিটির সঙ্গে কো-অর্ডিনেট করে সুরক্ষা ব্যবস্থা আমরা আরও পোক্ত করব’।