বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজোর মধ্যেই আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পঞ্চমীর দিন রাজ্যজুড়ে সকল মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা অবধি এই অনশন করবেন জুনিয়র চিকিৎসক, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। গতকালই ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরেই তাঁদের একটি দাবি মেনে নিল রাজ্য (Government of West Bengal)।!
জুনিয়র ডাক্তারদের কোন দাবি মানল সরকার (Government of West Bengal)?
আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশন (Hunger Strike) করছেন ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার। সেই দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল কেন্দ্রীয়ভাবে রোগী রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা। এবার এই দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। চতুর্থীর দিন ‘রাত্তিরের সাথী’ নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠক শেষে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যসচিব।
মনোজ পন্থ (Manoj Pant) বলেন, ‘আগামী ১৫ তারিখ থেকে রেফারেল সিস্টেমের একটা পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হচ্ছে। এরপর ১ নভেম্বর থেকে সেটা সম্পূর্ণ রাজ্যে কার্যকর করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি’। এরপর সকলকে কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। মুখ্যসচিব বলেন, ‘অনেকে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা প্রত্যেকে মিলে হাসপাতালে পরিবেশের উন্নতিসাধনের চেষ্টা করছি। এবং কাজ যে হচ্ছে, সেটাও চোখে পড়ছে’।
আরও পড়ুনঃ Breaking: জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে সাড়া নেই সরকারের! এবার গণ ইস্তফা আরজি করের চিকিৎসকদের
এখানেই না থেমে রাজ্যের মুখ্যসচিব (WB Chief Secretary) আরও বলেন, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০% কাজ হয়ে যাবে। ডাক্তারদের সুরক্ষা নিয়েও এদিন কথা বলেন তিনি। মনোজ পন্থ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ২৮। সেখানে সর্বমোট ৭,০৫১টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে।
রাজ্যের (Government of West Bengal) মুখ্যসচিব জানান, ইতিমধ্যেই এই কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। ৪৫% সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। মনোজ পন্থ বলেন, ১১৩ কোটি টাকার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশন শুরু হয়েছে আড়াই দিন হয়ে গেলেও সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে সেভাবে সাড়া না মেলায় গণ ইস্তফার পথে হেঁটেছেন আরজি করের ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সকালে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেলা গড়াতেই একের পর এক চিকিৎসক ইস্তফা দিতে শুরু করেন। এর ফলে সরকারের চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।