বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে হু হু করে বেড়েছে আলুর (Potato) দাম। কিনতে গেলেই ছ্যাঁকা লাগছে সোজা পকেটে! এদিকে পাতে আলু না পড়লে চলে না অনেকের। ফলে এই সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ফাঁপরে পড়েছিলেন বহু মানুষ। সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকেও দাম নিয়ন্ত্রণে নজরদারি চলছে। বাজারে বাজারে ঘুরছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। এই আবহে রাজ্যের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী জন্য আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসছে না? সেটা খতিয়ে দেখতে গিয়েই ভোটিং চক্রের খোঁজ পেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
৭টি বাজারে ভোটিং চক্র চলছে! হদিশ পেল সরকার (Government of West Bengal)
জানা যাচ্ছে, হুগলি ও বর্ধমানের ৭টি বাজারে এই ভোটিং চক্রের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। হুগলির তারকেশ্বর, বৈচি, ধনেখালি কুমরুল, ভান্ডারহাটি এবং বর্ধমানের কালনা, মেমারি এবং বুলবুলিতলায় এই ভোটিং চক্রের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই ভোটিং কমিটি নাকি রোজ সন্ধ্যাবেলা ৬:৩০-৭টা নাগাদ ভোট করে পরের দিনের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। অর্থাৎ বাংলার বুকে আলুর মূল্য (Potato Price) নিয়ে মনোপলি ব্যবসা চলছে।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নবান্ন (Government of West Bengal) সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, এই ভোটিং কমিটির সদস্যদের নাম ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটিং বাজার কমিটির সবগুলিতে ৫-৭ জন করে আছেন বলে খবর। পুলিশের তরফ থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ৫৭%! নতুন বছরেই DA নিয়ে সুখবর পাবেন সরকারি কর্মীরা! সামনে বড় আপডেট
জানা যাচ্ছে, রোজ সন্ধ্যাবেলায় ভোটিং বাজার কমিটি পরের দিন আলুর মূল্য কত হবে সেটা নিয়ে ভোট দেন। অনেকখানি নিলামের মতো। যে মূল্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে, পরেরদিনের জন্য সেই দামই ঠিক করা হয়। কোল্ডস্টোর মালিক এবং বড় বড় আড়তদারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই মূল্য নির্ধারিত হয় বলে খবর। এই কমিটিতে যারা রয়েছেন, সকলে বেশ বড় মাপের আলু ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাঁদের সকলের বিগত ১ বছরের মোবাইল কললিস্ট এবং লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দরকার পড়লে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ভোটিং বাজার কমিটি কোনও দাম নির্ধারণ করে না। চাহিদা ও জোগানের ওপর তা ঠিক হয়। দরকার পড়লে সরকার নির্ধারিত দামটা ঠিক করে দিক’।
অন্যদিকে রাজ্যের (Government of West Bengal) কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘কৃষকদের শস্য বিমা থেকে শুরু করে অন্যান্য সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তা সত্ত্বেও বাজারে আলুর মূল্য কমছে না। আসলে এর নেপথ্যে একটি চক্র কাজ করছে। যাকে ভোটিং বাজার কমিটি বলা হচ্ছে। এরাই নিজেরা আলুর দাম বৃদ্ধি করে বাজারে আলু ছাড়ছে। আগের দিন সন্ধ্যাতেই তাঁরা পরের দিনের দাম ঠিক করে নিচ্ছে। আমরা এদের খোঁজ পেয়েছি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।