বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাটির হোক বা পাকা, নিজের একটা বাড়ি সকলেই চায়। তবে এখনকার দিনে একটা বাড়ি তৈরি করা চারটিখানি কথা নয়। সেই কারণে অনেকেরই এই ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। তবে কেন্দ্র ও নানান রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এমন বেশ কিছু প্রকল্প আনা হয়েছে, যার মাধ্যমে নিজের বাড়ি তৈরির এই স্বপ্ন পূরণ করা এখন সম্ভব হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের (Government Scheme) নামও রয়েছে সেই তালিকায়। এবার রাজ্য সরকারের এই স্কিম নিয়েই সামনে এল বড় আপডেট।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে (Government Scheme) নিয়ম বদল!
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পেতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। আগে এতখানি কড়াকড়ি ছিল না। তবে সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু দুর্নীতির খবর আসতেই কড়াকড়ির পথে হেঁটেছে রাজ্য। সম্প্রতি যেমন বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে একটি নয়া আপডেট সামনে এসেছে।
জানা যাচ্ছে, পুজো মিটলেই অক্টোবর মাসের ২১ তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে বাংলার বাড়ি (Banglar Bari) প্রকল্পের সমীক্ষা শুরু হবে। কারা এই প্রকল্পে টাকা পাওয়ার যোগ্য সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এরপরেই যোগ্য আবেদনকারীদের বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ ‘ডিসেম্বরের মধ্যে…’! ময়নাতদন্তের অভিজ্ঞতা ছাড়াই MBBS! এবার বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পে (Government Scheme) মূলত ৩টি ধাপে টাকা দেওয়া হয়। প্রথমে ধাপে ৬০,০০০ টাকা, এরপর ৪০,০০০ টাকা এবং সবশেষে ২০,০০০ টাকা দেয় সরকার। তবে দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু উপভোক্তা এই প্রকল্পে টাকা পেলেও বাড়ি তৈরি করেননি। প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ বাড়ি এভাবেই অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে বলে খবর। এরপরেই নড়েচড়ে বসে সরকার।
উপভোক্তাদের বাড়ির কাজ অসম্পূর্ণ করে রাখার এই প্রবণতা কমানোর জন্য রাজ্য সরকারকে একটি মুচলেকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের (Government Scheme) উপভোক্তাদের একটি মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, সরকারের তরফ থেকে যে টাকা প্রদান করা হবে সেটা কেবলমাত্র বাড়ি তৈরির জন্যই ব্যবহার করবেন। জানা যাচ্ছে, উপভোক্তাদের এই মুচলেকা পঞ্চায়েত দফতর রেকর্ড করবে। পরবর্তীতে কখনও যদি প্রশ্ন ওঠে তাহলে এই নথি ব্যবহার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।