লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! এই প্রকল্পেও মাসে মাসে মিলবে টাকা! দুর্দান্ত উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জনপ্রিয়তার কথা কারোর অজানা নয়। বছর তিনেক হল এই স্কিম শুরু হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফেলেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের বহু মহিলা। আজ যদিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, বরং রাজ্য সরকারের অন্য আর একটি প্রকল্প (Government Scheme) নিয়ে আলোচনা করা হবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো এই প্রকল্পেও মাসে মাসে উপভোক্তাদের ভাতা প্রদান করে সরকার।

  • রাজ্য সরকারের এই স্কিমে (Government Scheme) মাসে মাসে মিলবে টাকা

আট থেকে আশি, রাজ্যের প্রায় সব বয়সের মানুষের জন্যই কোনও না কোনও প্রকল্প চালু করেছে সরকার (Government of West Bengal)। এর মধ্যে কিছু কিছু স্কিমে মাসিক ভাতা, কিছু কিছু স্কিমে আবার মেলে অন্য সুবিধা। রাজ্যের প্রবীণ বাসিন্দাদের সুবিধার্থে যেমন বার্ধক্য ভাতা চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বিধবা ভাতার মতো এই স্কিমেও মাসে মাসে অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠানো হয়।

রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের অধীন ৬০ বছরের বেশি বয়সি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। কয়েক মাস আগেই জানানো হয়েছে, বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে নতুন করে ৫০,০০০ আবেদনকারীকে যুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই এই স্কিমের (Government Scheme) দ্বারা ২০ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষকে মাসিক ভাতা প্রদান করা হয়। এবার এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে।

আরও পড়ুনঃ কথা রাখলেন, পুজোর আগেই সাধারণ মানুষের জন্য যা করলেন অভিষেক… ধন্য ধন্য করছে সকলে

নতুন করে ৫০,০০০ গ্রাহক যুক্ত হলে এবার এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ লক্ষ ৬৫ হাজার। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই প্রকল্পের ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে বার্ধক্য ভাতার (Old Age Allowance) উপভোক্তারা প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে পান।

Government of West Bengal Government scheme

উল্লেখ্য, বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে যে সকল উপভোক্তা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সিদের ২০০ টাকা এবং ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে যে সকল গ্রাহক রয়েছেন তাঁদের ৩০০ টাকা করে দেয় কেন্দ্র। বাকি টাকা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। এই প্রকল্পের (Government Scheme) মাধ্যমে রাজ্যের অগুনতি প্রবীণ বাসিন্দা উপকৃত হয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সে অনেকেই আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে যে টাকা দেওয়া হয়, তাতে কিছুটা হলেও সুরাহা হয় তাঁদের।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর