বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তেরো থেকে তিরাশি, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রত্যেক মানুষের জন্যই কোনও না কোনও প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) থেকে শুরু করে সবুজ সাথী, তরুণের স্বপ্ন, সেই তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক স্কিমের। এবার কেন্দ্রের রিপোর্টে রাজ্যের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হল।
রাজ্যের সমাজসেবামূলক প্রকল্পগুলিতে (Government Scheme) শিলমোহর দিল কেন্দ্রের রিপোর্ট!
সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফ থেকে গৃহস্থের ভোগব্যয় সম্পর্কিত সমীক্ষা তথা হাউজহোল্ড কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভোগব্যয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই সমীক্ষা রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের গ্রামীণ পরিবারের খাদ্যশস্য ক্রয়ের বাইরে ভোগব্যয় ভারতবর্ষের বাকি রাজ্যগুলির থেকে বেশি হারে হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সমগ্র ভারতে ভোগব্যয় বৃদ্ধির হার সাড়ে ৩%। তবে পশ্চিমবঙ্গে এই বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ! বাংলার ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধির হার হল ৫.৩৯%। এর নেপথ্যে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু, কন্যাশ্রী (Kanyashree), বার্ধক্য ভাতার মতো প্রকল্পগুলির ‘অবদান’ কার্যত সমীক্ষায় মেনে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের যে সকল প্রকল্পে সরাসরি গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়, সেগুলির ‘সুফল’ হিসেবেই চাল, ডাল সহ খাদ্যশস্যের বাইরে অন্যান্য পণ্য ক্রয়ের ক্ষমতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সমীক্ষা মেনে নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের ‘এই’ প্রকল্পের সুবিধা পাবে না রাজ্যবাসী! সোজা ‘না’ বলে দিল রাজ্য
মাথাপিছু ভোগব্যয় সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত এক বছরে দেশে মাথাপিছু গড় ক্রয়ক্ষমতা ৩৮৬০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪২৪৭ টাকা। শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলে এই বৃদ্ধির হার বেশি। শহরে এই বৃদ্ধির হার ১.১৭%, অন্যদিকে গ্রামে হল সাড়ে ৩%।
এই বিষয়ে জাতীয় স্ট্যাটিস্টিক্যাল কমিশনের অনুমান, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির (Government Scheme) জন্যই এমনটা সম্ভব হচ্ছে। সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকার জোগান বৃদ্ধি পাওয়া এই বিষয়ে কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছে। আর সেখান থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সাফল্যে শিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজসেবামূলক প্রকল্পগুলির (Government Scheme) অনুকরণে দেশের একাধিক রাজ্যে নানান প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সরকারি অনুদান প্রদানের স্কিমগুলির দৌলতে দেশের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা খাদ্যশস্য় ছাড়াও কিছু পরিমাণ অর্থ ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাশ্রয় করতে পারছে। এর মধ্যে মাছ, মাংস, দুধের পাশাপাশি রয়েছে মোবাইল, টিভি, ফ্রিজের মতো জিনিস। কেন্দ্রের আরেকটি সমীক্ষা অনুযায়ী, দুধ, ডিম, মাছের মতো প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদন এবং ভোগের নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলার নাম। সেই সঙ্গেই দেশের গ্রামাঞ্চলে বৃদ্ধি পেয়েছে নানান ধরণের ভোগ্যপণ্যের ক্রয়-বিক্রয়।