বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পড়ুয়া থেকে শুরু করে মহিলা, প্রত্যেকের জন্যই কোনও না কোনও প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar), কন্যাশ্রী হয়ে তরুণের স্বপ্ন, সবুজ সাথী, সেই তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক স্কিমের। এর মধ্যে বহু প্রকল্পে আবার মাসিক ভাতা দেয় রাজ্য (Government of West Bengal)। আজ এমনই একটি স্কিম নিয়ে আলোচনা করা হবে।
রাজ্যের এই স্কিমে (Government Scheme) মিলবে ৫০০০ টাকা!
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের জনহিতকর এই সকল স্কিমের মাধ্যমে সুরাহা হয়েছে বহু মানুষের। এমনই একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫০০০ টাকা করে দেয় সরকার। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই টাকা পাঠানো হয়।
প্রত্যেক বছর সাধারণত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি অবধি মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর ফলে চাপে পড়েন মৎসজীবীরা। সংসার টানতে হিমশিম খেয়ে যান অনেকে। তাঁদের কথা মাথায় রেখে সমুদ্রসাথী প্রকল্প (Samudra Sathi Scheme) চালু করেছে রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ গাড়ির তলায় ‘চাপা’! যাদবপুরের আহত ছাত্রের বাবাকে ফোন শিক্ষামন্ত্রীর! কী কথা হল দু’জনের?
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকার দরুন ওই ২ মাস মৎসজীবীদের জীবন জীবিকার সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণেই ওই সময়টায় তাঁদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বছরে ওই নির্দিষ্ট দু’মাসে মাসিক ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয় (Government Scheme)। গত বছর রাজ্য বাজেট পেশের সময় এই ঘোষণা করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের ফলে সুরাহা হয়েছে বাংলার বহু মৎসজীবীর। বিশেষত উপকূলবর্তী জেলাগুলির মৎসজীবীদের অনেকখানি সুবিধা হয়েছে বলে খবর। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখি, কেবলমাত্র নথিভুক্ত মৎসজীবীরাই রাজ্যের এই স্কিমের সুবিধা পাবেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এর জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে।
এদিকে রাজ্যের তরফ থেকে এই সমুদ্রসাথী প্রকল্পের (Government Scheme) ঘোষণা করা হতেই ধন্যবাদ জানান মৎসজীবীরা। তাঁদের কথা ভেবে এই স্কিম আনায় আপ্লুত তাঁরা। মৎসজীবীরা বলেন, এই দু’মাস সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেকে লুকিয়ে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেন। ধরা পড়লে জরিমানা দিতে হয়। সব মিলিয়ে বেশ সমস্যায় ছিলেন তাঁরা। বহুদিন ধরে এই নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছিল। অবশেষে গত বছরের বাজেটে তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে চালু করা হয় এই প্রকল্প।