বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই নিয়ে বেশ কিছু কড়া নির্দেশও দেন তিনি। চলতি বছরের শুরুতেও নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই নিয়ে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই বড় উদ্যোগ নিল নবান্ন (Government of West Bengal)। সরকারি জমি (Government Land) দখলমুক্ত করতে নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ।
সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে কী উদ্যোগ নিল নবান্ন (Government of West Bengal)?
গত জানুয়ারি মাসে মমতা স্পষ্ট বলেন, বেআইনি জবরদখল নিয়ে একটি নীতি বানাতে হবে। মন্ত্রী থেকে কাউন্সিলর, কেউ যদি ভাবেন নিজের স্বার্থে সরকারি জমি দিয়ে দেবেন, তাহলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। আইন সবার জন্য এক, স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী। এবার জানা গেল, নয়া উদ্যোগ নিয়েছে নবান্ন।
কোন জায়গায় সরকারের জমি রয়েছে, কতটা জমি রয়েছে, সরকারের কোন দফতরের সেই জমি, এবার সবাই সবটা জানতে পারবেন। ‘বাংলার ভূমি’ (Banglar Bhumi) ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই সরকারি জমির বিশদ তথ্য যে কেউ পেয়ে যাবেন। ফলে জমি ক্রয়ের সময় কেউ প্রতারণার শিকার হচ্ছে কিনা অথবা সরকারি জমির চরিত্র বদলে বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটা ক্রেতারা সহজেই জানতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ চাকরিহারাদের আন্দোলনকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ! ফিরহাদ বললেন, ‘টিভিতে মুখ দেখাতে এসব করছে’
জানা যাচ্ছে, কোথায় কত সরকারি জমি রয়েছে সেটা এতদিন অবধি কেউ জানতে পারতো না। তবে নবান্ন (Nabanna) সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এবার থেকে রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারি জমি জবরদখল হওয়ার সম্ভাবনা কমবে, তেমনই সাধারণ মানুষের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পাবে।
উল্লেখ্য, গত বছর লোকসভা ভোটের পর থেকে সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই রাজ্য (Government of West Bengal) এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অনুমান করছেন অনেকে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, এর ফলে সরকারি জমি জবরদখল কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।