বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তাজনিত কাজ শেষ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এবার এই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)! কাজ শেষ করার জন্য ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হল।
হাসপাতালগুলিতে কাজ শেষের ডেডলাইন বেঁধে দিল নবান্ন (Government of West Bengal)
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাসভবনে স্বাস্থ্য সম্বন্ধিত একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জানা যাচ্ছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে সকল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলির কাজ কতদূর এগিয়েছে তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সময় নষ্ট যাতে না হয় সেই বার্তাও দেন বলে খবর।
এরপর গতকাল নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant)। জানা যাচ্ছে, মেডিক্যাল কলেজগুলির কাজ কতখানি এগিয়েছে সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর এবং পূর্ত দফতরের থেকে রিপোর্ট নেন তিনি। এরপর স্বাস্থ্যসচিব এবং পূর্তসচিবের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠকে ওয়েবেল কর্তারাও ছিলেন বলে খবর। সেখানেই আরজি কর হাসপাতাল সহ রাজ্যের বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য মুখ্যসচিব ভিন্ন ভিন্ন ডেডলাইন নির্ধারণ করে দেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ভুয়ো রেশন কার্ড রুখতে কড়াকড়ির পথে সরকার! খাদ্য দফতরের এক পদক্ষেপে তোলপাড়
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘রেফারেল ব্যবস্থাও আরও সংস্কারের দরকার রয়েছে। বেশ কিছু সাজেশন আসছে। সেগুলির ভিত্তিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শীর্ষ আদালতকে আমাদেরও জবাব দিতে হয়। দরকার হলে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি করুন’।
নবান্ন (Government of West Bengal) সূত্রে জানা যাচ্ছে, মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা, শৌচাগার, বিশ্রামকক্ষ এবং অতিরিক্ত আলো- এই কাজগুলি সম্পন্ন হবে। স্রেফ আরজি করের ক্ষেত্রে ৩১ অক্টোবর অবধি ডেডলাইন রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বেশ কিছু বিষয় নোট করে নেওয়ার কথাও বলেন বলে খবর।
আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে যাতে কাজ সম্পন্ন হয়, সেটা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক হাসপাতালে ভিন্ন ভিন্ন দল গঠন করতে হবে। হাসপাতালের কোথাও যেন লাইটের কমতি না থাকে। কোনও জায়গায় যদি স্থায়ী আলোকস্তম্ভ লাগানো সম্ভব না হয়, তাহলে অস্থায়ী আলোর বন্দোবস্ত করতে হবে। কাজ শেষ হওয়ার পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি পরিদর্শন করবে নবান্ন (Government of West Bengal), স্বাস্থ্য এবং পূর্ত দফতরের নির্ধারণ করা বিশেষজ্ঞের টিম।