বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে রয়েছে মাত্র ২ দিন! এর মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন (Government of West Bengal)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে স্বাস্থ্যভবনের থেকে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে খবর। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Medinipur Medical College Hospital) ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের কারণে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় এই রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন।
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নবান্নর (Government of West Bengal)!
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যদপ্তরের ১৩ জন তদন্তকারী। জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও সুপারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তাঁরা। সেটার ভিত্তিতে বানানো হয়েছে রিপোর্ট। রবিবারের মধ্যে সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়া হতে পারে।
‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সরগরম রাজ্য। অভিযোগ, মৃতা মামনি রুইদাসকে নিষিদ্ধ ‘রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। তার জেরে ওই প্রসূতির প্রাণ গিয়েছে। এই অভিযোগ ওঠার পর সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্যালাইনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটক্যালসের বানানো ১০টি ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার জানা গেল, স্বাস্থ্যভবনের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন (Government of West Bengal)। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা খতিয়ে দেখবেন বলে খবর।
এদিকে ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনের (Swasthya Bhaban) তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে সংস্থার বানানো স্যালাইন নিয়ে এত বিতর্ক হচ্ছে, তাদের বানানো অন্যান্য স্যালাইনও আপাতত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সেগুলির নমুনা নিয়ে গবেষণাগারে পাঠানো হবে। যতক্ষণ না টেস্টের ফলাফল আসছে, ততক্ষণ অবধি জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে জারি করা এই নির্দেশিকা রাজ্যের সকল সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর স্বাস্থ্যদপ্তরের (West Bengal Health Department) তরফ থেকে তৎপরতা চোখে পড়ছে। এই নিয়ে মৃতার পরিবারের প্রশ্ন, একটা প্রাণ চলে যাওয়ার পর এত সচেতনতা দেখিয়ে কী লাভ? অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের নানান হাসপাতালে এমন নিষিদ্ধ ওষুধের ব্যবহার আটকানোর জন্য আগেই বেশ কয়েকটি সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়েছিল। তাদের বানানো ওষুধ অথবা অন্যান্য কোনও মেডিক্যাল সামগ্রী ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে অভিযোগ, এরপরেও রাজ্যের নানান জায়গায় এর উৎপাদন চলছিল।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পর ফের একবার শিরোনামে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন (Government of West Bengal)। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর কী হয় সেটাই এবার দেখার।