বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi Scheme)। সাম্প্রতিক অতীতে এই স্কিম নিয়েই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি টাকা আয়ের অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার সেসব বন্ধ করতেই উদ্যোগী সরকার।
স্বাস্থ্য দফতরের কানেও এসেছে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi Scheme) নিয়ে অভিযোগ!
রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরজি কর কাণ্ডের আঁচ ব্যাপকভাবে পড়েছিল। সেই সময় বহু মানুষ বেসরকারি হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হয়েছিলেন। অনেকেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi Card) মাধ্যমে তখন চিকিৎসা করিয়েছিলেন। সেই সময়ই স্বাস্থ্য দফতরের সামনে নানান দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে বলে খবর। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে লক্ষাধিক টাকার বিল বাড়ানোর কথা জানা যায়।
এসব দিকে নজর রেখে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের সকল বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে এবার ‘জিও ট্যাগিং’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার (Government of West Bengal)। দুর্নীতি আটকাতে এই নয়া ফরমান জারি করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ শুধু মহিলা নন, পুরুষরাও পাবেন সুবিধা! এবার নয়া রূপে আত্মপ্রকাশ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’এর
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই ‘জিও ট্যাগিং’ কী? রিপোর্ট বলছে, এবার থেকে হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলে অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর ছবি তুলে পাঠাতে হবে। সংশ্লিষ্ট রোগীর নাম, কোন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সেখানে কতদিন থেকেছেন, কোন জায়গার ছবি তোলা হয়েছে- এমন নানান তথ্য জানাতে হবে বলে খবর।
এছাড়া রোগীর অস্ত্রোপচার হলে, অস্ত্রোপচারের আগের, পরের এবং হাসপাতাল/নার্সিংহোম থেকে ছুটির সময়কার ছবিও এবার থেকে পাঠিয়ে দিতে হবে (Swasthya Sathi Scheme)। জানা যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সম্পূর্ণ পদ্ধতি চলবে। হাসপাতালের ৫০ মিটারের মধ্যে এই অ্যাপ কাজ করবে। রোগীর ছবি সহ সকল তথ্য, হাসপাতালের লোকেশন ও চিকিৎসা সম্বন্ধিত যাবতীয় তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই যাচাই করবে।
একবার ওই অ্যাপে তথ্য আপলোড করে দেওয়ার পর সেটায় আর কোনও রকম পরিবর্তন করা যাবে না। তথ্য যদি ভুয়ো হয়, তাহলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং পদাধিকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রিয়েল টাইম ছবি ও তথ্য মিলছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব থাকবে টিপিএ কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির হাতে। যখনই ক্লেম যাচাই করা হবে, সেই সময়ই টিপিএরা অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসা শুরু এবং শেষের সময় দেখে নেবেন। রিপোর্ট বলছে, স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi Scheme) শাখা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এই সকল তথ্য যাচাই করবে। সেই সঙ্গেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল/নার্সিংহোমে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের সম্পর্কিত তথ্যও হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলিকে জানাতে হবে।