বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকা (Teachers), শিক্ষাকর্মীদের জন্য নয়া নিয়ম। এবার জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (জিপিএফ) বছরে সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিল অর্থ দফতর। সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সেখানেই জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (General Provident Fund) নিয়ে বলা হয়েছে।
কি বলা হয়েছে অর্থ দফতরের নির্দেশিকায়?
রাজ্য তরফে নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে, এবার থেকে বছরে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন রাজ্যের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। জানিয়ে রাখি, এতদিন কেউ চাইলে নিজের মূলবেতনের (বেসিক) সমপরিমাণ অর্থ জমা করতে পারতেন জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে। তবে এবার থেকে শিক্ষকদের জন্য বাৎসরিক সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে দিল অর্থ দফতর। চলতি বছর থেকেই এই নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে।
রাজ্য তরফে আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের নিয়মকে মান্যতা দিয়েই এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এরই সাথে অর্থ দফতরের দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই যাদের জিপিএফে পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি অর্থ জমা পড়েছে, তাদের সঞ্চয়ের জন্য মাসিক যে অর্থ কাটা হয় তা এবার থেকে যাতে না নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫১,৪৫১ টাকা! বকেয়া DA না মিললেও শীঘ্রই লক্ষ্মীলাভ! সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর
রাজ্যের নয়া নিয়ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে শিক্ষক মহলে। এই নিয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “শিক্ষক কর্মচারীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করার একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তবে একটা বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই নির্দেশ দিতে হয়। ‘
আরও পড়ুন: দেদারে সরকারি বিদ্যুৎ চুরি! জ্বলছে লাইট-ফ্যান, অভিযোগ উঠতেই TMC বিধায়কের শাশুড়ি বললেন…
বাংলায় যেখানে ২০২০-সালে বেতন কমিশন চালু হয়েছিল তাহলে তার চার বছর পর এত দিন পর এসে এই নির্দেশ কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বপনবাবু। এদিকে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্য যেখানে সরকারি খাতে সঞ্চয় করা হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রেপ এবার থেকে ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলে বেসরকারি সংস্থাগুলির প্রভাব বাড়বে বলেই মত শিক্ষকদের একাংশর।