বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট, মাঝে শুক্রবারটা ম্যানেজ করে নিতে পারলেই টানা ৪ দিনের ছুটি! অনেকেই এভাবে নিজের ‘হলিডে’ সাজিয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের দিন কাছেপিঠে ঘুরতেও বেরিয়ে পড়েছিলেন বহু সরকারি কর্মী। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) একটি বিজ্ঞপ্তিতেই কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে। কড়া নির্দেশিকার জেরে এক টানা ছুটির গল্পে ইতি পড়তে চলেছে।
কড়া বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal)!
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, শুক্রবার তথা আজ রাজ্যের সকল সরকারি কর্মী থেকে আধা সরকারি কর্মী, প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে কাজে যোগ দিতে হবে। এদিনের জন্য কোনও সিএল পাওয়া যাবে না। বুধবার যারা ছুটিতে ছিলেন তাঁদেরও এদিন কাজে জয়েন করতে হবে। সেই সঙ্গেই অফিসে না আসলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে বহু রাজ্য সরকারি কর্মী (Government Employees) টানা ৪ দিনের ছুটির কথা ভেবে শুক্রবার ছুটি নেওয়ার কথা ভেবে রেখেছিলেন। এবার সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিতে কার্যত তাঁদের মাথায় হাত পড়ার জোগাড় হয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে আচমকাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হল আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ডাকা বনধ।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় টানা বর্ষণ! শুক্রে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়, রইল আবহাওয়ার মেগা আপডেট
আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদস্বরূপ আজ বাংলা জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে এফইউসিআই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী আবার বাংলা ‘স্তব্ধ’ করে দেওয়ার কথা বলেছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার রাজ্যকে সচল রাখতেই রাজ্য সরকারি কর্মী এবং আধা সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে এই নির্দেশিকা জারি করা হল (Government of West Bengal)।
এক্ষেত্রে অবশ্য কিছু কিছু সরকারি কর্মীরা ছাড় পাবেন। কোনও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে কিংবা তাঁর পরিবারে শোকের পরিস্থিতি থাকলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে। ১৪ আগস্টের আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে ছুটি নেওয়া সরকারি কর্মীরা ছাড় পাবেন। সেই সঙ্গেই ১৪ আগস্টের আগে যে সকল সরকারি কর্মীরা মেডিক্যাল লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি অথবা চাইল্ড কেয়ার লিভ নিয়েছেন তাঁদের ছুটিতেও কোনও প্রভাব পড়বে না বলে খবর।
রাজ্য সরকার (Government of West Bengal) স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনও সরকারি কর্মী আজ অফিস না এলে তাঁর মাইনে কেটে নেওয়া হবে। সেই সঙ্গেই অফিসে না আসার যথাযথ কারণ না দেখাতে পারলে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হবে। সেই নোটিশের জবাব না দিলে শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ ধরানো হবে। সব মিলিয়ে, আজ অফিস না গেলে একজন সরকারি কর্মীর চাকরি ওপর প্রভাব পড়তে পারে।