বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন সময় নানান উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। কর্মসংস্থানের জন্যেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাংলায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে নানান খ্যাতনামা সংস্থা। সেই সঙ্গেই রাজ্যের বহু নাগরিকও নিজস্ব ব্যবসা শুরু করছে। তবে সব ক্ষেত্রেই বাংলার বুকে ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স (Trade License) দরকার হয়। বর্তমানে বাড়ি বসে সহজেই এই লাইসেন্স পাওয়া যায়। তবে বহু ক্ষেত্রে এর অ্যাপ্লিকেশন ফি (Application Fee) বাবদ বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার এই সমস্যা দূর করতে বড় পদক্ষেপ নিল সরকার।
রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে ফের বড় পদক্ষেপ সরকারের (Government of West Bengal)
জানা যাচ্ছে, ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনত যত টাকা নেওয়া উচিত, তার বাইরে গিয়েও রাজ্যের বহু পুরসভা অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ বাড়তি টাকা নেয়। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নজরে এসেছে। তারপরেই বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হল, ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্যের পুরসভাগুলি (Municipality) কোনও প্রকার বাড়তি টাকা নিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স রিনিউওয়ালের ক্ষেত্রে এই একই নিয়ম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুনঃ এতেও কাটমানি! ‘বাড়ি বিক্রি করে হলেও ৬০০০ দিতেই হবে’! বাংলা আবাসের টাকা ঢুকতেই ফোন তৃণমূল নেতার
এখানেই শেষ নয়! ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন ফি বাবদ বাড়তি টাকা না নেওয়ার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কোনও ক্ষেত্রে সর্বাধিক কত টাকা নেওয়া যাবে সেটাও বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট, ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট ও হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুসারে এই খাতে সর্বাধিক কত টাকা নেওয়া যাবে সেটা স্থির করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সকল পুরসভা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ এলাকা ও নোটিফায়েড এরিয়ার জন্য বছরে সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা নেওয়া যেতে পারে। হাওড়া, কলকাতা, চন্দননগর, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর ও আসানসোল পুরসভা অঞ্চলের ক্ষেত্রে এই অঙ্কটা হল ২৫০০ টাকা। ইতিমধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তি রাজ্যের সকল পুরসভাগুলিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বিভিন্ন সময়ে নানান উদ্যোগ নেয় সরকার (Government of West Bengal)। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে করের বোঝা চাপানো নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়াকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।