বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল বাংলা। ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা প্রত্যেকে। হাসপাতালের মধ্যে একজন ডাক্তারের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে নারী সুরক্ষা। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেখানে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটে? প্রশ্ন উঠছে বারবার। এই আবহে এবার বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য (Government of West Bengal)।
নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বিরাট উদ্যোগ রাজ্যের (Government of West Bengal)!
শনিবার আচমকা সাংবাদিক বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘রাত্তিরের সাথী’।
আরজি কর কাণ্ডের পর ঘরে-বাইরে তুমুল সমালোচিত হতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। সরকারি এক হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটালো কে? অপরাধী কি একজন নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে আরও অনেকের হাত? এমন নানান জল্পনা কল্পনার মাঝেই নারী সুরক্ষার (Women Safety) খাতিরে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে দুই চিকিৎসককে তলব! কুণাল সরকার ও সুবর্ণ গোস্বামীকে কেন ডাকল লালবাজার?
নানান সরকারি, বেসরকারি, হস্টেল এবং অন্যান্য অফিসে মহিলা কর্মচারীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আলাপন জানান, সব অফিসে রেস্ট রুম এবং মহিলাদের জন্য আলাদা করে শৌচালয় বানাতে হবে। এই সঙ্গেই ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে একটি অ্যাপ চালু করতে হবে। হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার কড়াকড়ির পাশাপাশি কর্মস্থলে বিশেষ বাহিনী রাখা হবে। তাঁদের কাজ হবে সময়ে সময়ে টহলদারি করা।
সমগ্র হাসপাতালে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং সেফ জোন তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। পাশপাশি মহিলা চিকিৎসকদের নাইট ডিউটি এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। এছাড়া রাতে মহিলা-পুরুষ নিরাপত্তাকর্মীর অনুপাত বজায় রাখা এবং হাসপাতালে বিশাখা কমিটি তৈরি নিশ্চিত করতে হবে। ১২ ঘণ্টার বেশি মহিলা চিকিৎসকদের ডিউটি নয় এবং নিরাপত্তার জন্য লোকাল থাকা থেকে সিকিউরিটি অফিসার নিয়োগের কথাও বলা হয়েছে।