বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্যোজাত থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, রাজ্যের সকলের জন্যই কোনও না কোনও স্কিম চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী সেই তালিকায় নাম রয়েছে অনেকের। এমনই একটি প্রকল্পের অধীন ৮০,০০০ টাকা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার।
বর্তমানে হকার (Hawker) উচ্ছেদ নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার সমস্যা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর থেকেই রাজ্যের নানান প্রান্তে ‘অ্যাকশনে’র ছবি দেখা যাচ্ছে। শুরু হয়েছে হকার উচ্ছেদ। যদিও বৃহস্পতিবার হকারদের আন্দোলনের তীব্রতা দেখে মুখ্যমন্ত্রী এক মাস সময় দেওয়ার কথা বলেছেন। এই আবহে শিরোনামে উঠে এসেছে রাজ্য সরকারের একটি প্রকল্প (Government Scheme)।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্পটি রাজ্যের হকারদের জন্য চালু করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে বাংলার পৌরসভা অঞ্চলে ব্যবসা করা হকারদের ৮০,০০০ টাকা করে দিয়ে থাকে সরকার। পৌরসভা এলাকার হকার, যারা পৌরসভা এলাকায় ব্যবসা করেন এবং গ্রামীণ এলাকার কোনও ব্যক্তি পৌরসভা এলাকায় হকারি করলে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারের জন্য তড়িঘড়ি উদ্বোধন! দিল্লি বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা নিয়ে মোদীকে একহাত তৃণমূলের
২০২৩ সালে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এই স্কিমের নিয়ম অন্যসারে, ইচ্ছুক হকারদের পৌরসভায় আবেদন জানাতে হতো। এরপর তাঁদের তিন দফায় ৮০,০০০ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। প্রথমে ১০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা শোধ হওয়ার পর ২০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়। সেই টাকা শোধ করার জন্য ১ বছর সময় দেওয়া হয়। সেই টাকা শোধ করে দেওয়ার পর ৫০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়।
দুর্গা পুজো বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান এলে দেখা যায়, বড় বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের টাকা দিয়ে প্রচুর জিনিস কিনতে পারেন। সেই সময় ক্রেতাদের মধ্যেও সামগ্রী কেনার হেভি ডিম্যান্ড থাকে। তবে ফাঁপরে পড়েন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা বা হকাররা। ব্যবসা বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় দেখা যায় তাঁদের সেই সামর্থ্য নেই। এমতাবস্থায় গত বছর দুর্গা পুজোর আবহে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে এখনও এক বছর হয়নি। তাই অনুমান করা হচ্ছে, এবারও এই ধরণের কোনও প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। অথবা গত বছর ঘোষণা করা এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হতে পারে। এবার দেখা যাক, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিনা।