বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) সুবিধার জন্য স্বাস্থ্য স্কিম বা স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। যার জেরে অনেকটাই চিন্তামুক্ত হতে পেরেছেন সরকারি কর্মচারীরা। সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরাও রাজ্যের হেল্থ স্কিমের (Health Scheme) আওতায় আছেন, তবে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকেরা।
এখনও সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি। তারা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু কেন তারা হেল্থ স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন না, এই প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে একটি শিক্ষক সংগঠন।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকেরা মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। যদি ওই টাকা কোনো শিক্ষক না নেন তাহলে তিনি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। তবে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে নিয়ম একেবারেই আলাদা। তারা ওই ৫০০ টাকার মেডিক্যাল অ্যালাউন্স ছেড়ে দিলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি হেল্থ স্কিমের সুবিধার আওতায় আসেন। এই বৈষম্য নিয়েই অভিযোগ সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের।
যাতে সরকারি হেল্থ স্কিমের আওতায় সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষকদের আনা হয় সেই বিষয়ে আরজি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগেও অবশ্য একাধিক বার এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে শিক্ষক সংগঠন এআইএফই-এর সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নবকুমার কর্মকার বলেন, বর্তমানে রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলই সরকার পোষিত। তাই সরকারের এই নিয়মের ফলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিপুল পরিমাণ শিক্ষক সরকারি হেলথ স্কিম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: একসময় করেছিলেন তৃণমূলকে কুপোকাত! তালডাংরা কেন্দ্রে BJP-র প্রার্থী অনন্যার পরিচয় চমকে দেবে
তাদের আরও অভিযোগ, যেখানে রাজ্যের সাধারণ মানুষ এমনিতেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে সেখানে সরকার পোষিত শিক্ষকদের স্বাস্থ্যসাথী পেতে হলে চিকিৎসা ভাতা বাবদ মাসিক ৫০০ টাকা ছাড়তে হচ্ছে। এই নিয়মের অর্থ কি? এদিকে শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, শিক্ষক সংগঠনগুলির চিঠি পেলেও সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের সরকারি হেল্থ স্কিমের আওতাভুক্ত করার কথা এখনও ভাবা হয়নি।