বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে তোলপাড় বাংলা। দুর্নীতির জেরে গত বছর ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর। আগেই বিধি তৈরি করে ফেলেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। এবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই বিধি প্রণয়ন প্রস্তাবে ছাড়পত্র মিলল!
এবার থেকে স্থায়ী হবেন রাজ্যের ‘এই’ শিক্ষকরা (Government of West Bengal)!
গত বছরের শেষের দিকেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষক তথা স্পেশ্যাল এডুকেটরদের জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে রাজ্য। এই শিক্ষকদের নিয়োগের বিধিও আগেই তৈরি করা হয়েছিল। সেই বিধিতে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক স্পেশ্যাল এডুকেটরদের জন্য ১০% আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়। এবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই বিধি প্রণয়ন প্রস্তাব ছাড়পত্র পেয়েছে বলে খবর। সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
২০২৪ সালের শেষের দিকেই এই নিয়ে উদ্যোগী হয়ে ওঠে রাজ্য (Government of West Bengal)। সেই সময় মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্কুল সার্ভিস কমিশন আইন সংশোধনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। এরপরেই সরকারের তরফ থেকে বিধি প্রণয়নে জোর দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ টোটো নিয়ে কড়াকড়ি! এবার একগুচ্ছ নির্দেশিকা দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী
এরপর একটি খসড়া বানিয়ে নিয়োগের জন্য বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল ১০ বছরের জন্য OMR শিটের সংরক্ষণ। এক্ষেত্রে বলে রাখি, এই ওএমআর শিট বিতর্কের জেরেই ২০১৬ সালের এসএসসির প্রায় ২৬,০০০ চাকরি অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।
এবার উল্লেখযোগ্যভাবে প্রথমবারের জন্য স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য। এতদিন অবধি চুক্তিভিত্তিকভাবেই এই পদে নিয়োগ করা হতো। তবে এবার থেকে এই সকল শিক্ষকদের (School Teacher) জন্যেও নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে ১০% আসন সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে।
স্পেশ্যাল এডুকেটর (Special Educator) নিয়োগ বিধির এই খসড়া তৈরি হওয়ার পর শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নয়া নিয়মে স্কুলগুলিতে স্থায়ীভাবে স্পেশ্যাল এডুকেটর নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটা ভীষণ আনন্দের খবর। তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত ভাবে সম্পন্ন হয় তার দাবি জানাচ্ছি। নাহলে একটা প্যানেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে ১০ বছর পেরিয়ে যাবে’।
রাজ্যের (Government of West Bengal) তরফ থেকে এই শিক্ষকদের জন্য আগেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নিয়োগের বিধির খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই বিধি প্রণয়ন প্রস্তাব ছাড়পত্র পেল। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।