বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। এমনই একটি স্কিম হল স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi Scheme)। এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এই রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ। বিগত অর্থবর্ষেও এই প্রকল্পের জন্য মোটা টাকা ব্যয় করেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে এই বিষয়ক বিশদ তথ্য।
স্বাস্থ্যসাথীতে বিপুল অর্থ ব্যয় রাজ্যের (Government of West Bengal)!
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে এই রাজ্যের আর্থিকভাবে দুর্বল বহু পরিবারের সুরাহা হয়েছে। আগে মূলত তাঁদের ভরসা ছিল সরকারি হাসপাতাল। তবে রাজ্যের এই প্রকল্পের দৌলতে তাঁরা নানান বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাচ্ছেন। গত অর্থবর্ষে এই স্কিমে রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০৯১ কোটি টাকা খরচ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যের নানান জেলার মানুষ কলকাতার বহু বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। সেই সঙ্গেই জেলার নামি বেসরকারি নার্সিংহোম, হাসপাতালেও চিকিৎসা করানোর সুযোগ মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যসাথীর মাধ্যমে ৬০০০ রোগী উপকৃত হয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলাগুলিতে উপকৃত রোগীর সংখ্যা বেশি।
আরও পড়ুনঃ সংঘর্ষ বিরতি বজায় নাকি ফের শুরু হবে আক্রমণ? আজই বৈঠকে বসছেন ভারত-পাক DGMO
স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department) সূত্রে খবর, কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ টাকা হাতানোর নয়া কৌশল তৈরি করেছে। বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করলেও অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ অথবা চিকিৎসা সামগ্রী কেনার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর মহম্মদ ইসমাইল। তিনি জানান, মাসখানেক আগে তিনি এমন অভিযোগ পেয়েছিলেন। এরপর সোজা সেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের তরফ থেকে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসা করানো নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন, কোনও নার্সিংহোম বা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে অস্বীকার করলে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। রোগীর বাড়ির লোক সরাসরি ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন। কেউ কেউ ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তেও অভিযোগ জানান। নার্সিংহোমগুলিকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে রোগীদের ফেরানো যাবে না।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে ওঠা নানান অভিযোগ নিরসনে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের অনেকখানি সুরাহা হয়েছে। সরকারের (Government of West Bengal) এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন হাজার হাজার রোগী।