বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, রাজ্যবাসীর প্রায় সবদিকেই নজর থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal)। সেই কারণে চালু করা হয়েছে একাধিক প্রকল্প (Government Scheme)। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের (Swasthya Sathi Scheme) মাধ্যমে যেমন উপকৃত হয়েছেন বাংলার অগুনতি মানুষ। এবার এই স্কিম নিয়ে সামনে এসেছে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। বছরের শুরুতেই এই নিয়ে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে (Swasthya Sathi Scheme) নয়া দুর্নীতির অভিযোগ!
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে অতীতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে চিকিৎসক ও বেসরকারি হাসপাতালের একাংশের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর। এই আবহে এবার এই প্রকল্পে নয়া দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এতে নাম জড়িয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে (Swasthya Sathi Scheme) হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রোগীকে ২০০ টাকা করে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে রোগী ছুটি পাওয়ার পর রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে এই টাকা দেওয়া হয় তাঁদের। এবার এই ২০০ টাকা নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ বড় খবর! রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত! নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন
জানা যাচ্ছে, রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে এই ২০০ টাকা করে পাওয়ার জন্য একটি স্লিপে রোগীর নাম, ফোন নম্বর লিখে স্বাক্ষর করতে হয়। অভিযোগ, সই জাল করে রোগীদের বাড়ি ফেরার সেই টাকাই হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। কয়েক হাজার রোগীর ২০০ টাকা করে মোট কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে নেমে এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসে। রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে ২০০ টাকা নেওয়ার জন্য যে স্লিপ জমা দেওয়া হয়, সেখানে থাকা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করার পর স্বাস্থ্য কর্তারা এই দুর্নীতির বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে বেশ কিছু নম্বরের কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই। কিছু নম্বরে ফোন করলে অপর প্রান্ত থেকে বলা হচ্ছে রং নাম্বার।
এরপরেই অনুমান করা হচ্ছে, হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়া রোগীদের সই জাল করে ভুয়ো নম্বর দিয়ে ২০০ টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে (Swasthya Sathi Scheme)। জানা যাচ্ছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্র থেকে যে স্লিপ জমা দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকেই এই গরমিলের কথা জানা গিয়েছে। এখনও অবধি এই বিষয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।