বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরে রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) একাধিক প্রকল্পের টাকা উধাও হওয়ার খবর সামনে এসেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, পড়ুয়াদের ট্যাব বা মোবাইল কেনার ১০০০০ টাকা সহ আরও একাধিক প্রকল্পের টাকা আসল প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে না এসে চলে যাচ্ছে সাইবার প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। একের পর এক এমন ঘটনা ঘটছে বেশ কয়েকদিন ধরে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার রাজ্য তরফে জানানো হল সোমবারের মধ্যেই রাজ্যের ৮৫ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে চলেছে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের (Taruner Swapna Scheme) টাকা।
সিআইআই-তে এডুকেশন সামিটের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার। সেখানেই তিনি বলেন, “সমস্ত বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। এ রকম ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। আগামী সোমবারের মধ্যে প্রত্যেক স্টুডেন্টের অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ঢুকে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পেছনে কেউ যুক্ত থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আর যদি সিস্টেমে কোনও সমস্যা থাকে তা হলে যাতে দ্বিতীয় বার এই সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।”
কিভাবে একের পর এক পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে সেই নিয়ে তদন্ত চলছে। এখনও কিনারা হয়নি। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা দূর করতে সরকারি তরফে আগেই প্রকল্পের টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। প্রসঙ্গত, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল সেই বিষয়ে জানতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার পরিদর্শকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
সূত্রের খবর, ভুল তথ্য দেওয়া, অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যাওয়ার কারণে যাদের টাকা এখনও পৌঁছয়নি সেই বিষয়েও সরকার তথ্য সংগ্রহ করেছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে উঠে এসেছে গাফলিতির তত্ত্বও। প্রধান শিক্ষকদের গা ছাড়া মনোভাবের জন্যও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়! সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এই ২ ‘রাঘব বোয়ালে’র নাম? তোলপাড় রাজ্য
কিছু ক্ষেত্রে পোর্টালে আপলোডের সময় অ্যাকাউন্ট নম্বরে গরমিল দেখা গিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বর সঠিকভাবে আপলোড করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে ভুল তথ্য। যার জেরে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ও শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।