বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তেরো থেকে তিরাশি, রাজ্যের প্রায় সকল মানুষের কথা ভেবে কোনও না কোনও প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মেয়েদের জন্য যেমন রয়েছে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো স্কিম, তেমনই বয়স্ক মানুষদের জন্য রয়েছে বার্ধক্য ভাতা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য আবার চালু করা হয়েছে তরুণের স্বপ্নের মতো প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) এই স্কিম নিয়েই এবার প্রকাশ্যে নয়া আপডেট।
অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১০,০০০ টাকা (Government of West Bengal)
একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য ট্যাব অথবা স্মার্টফোন কিনতে সরকারের তরফ থেকে এককালীন ১০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। চলতি বছর শিক্ষক দিবসের দিন ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢোকার কথা ছিল। প্রস্তুতিও ছিল তুঙ্গে। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) তরফ থেকে কেন সিদ্ধান্ত বদল করা হল সেই বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। শুধু জানা গিয়েছে, ‘প্রশাসনিক কারণে’ এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- কবে ঢুকবে টাকা?
এদিকে ‘তরুণের স্বপ্ন’ (Taruner Swapna) প্রকল্পের টাকা দেওয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করতেই চিন্তায় পড়েছেন অনেকে। টাকা কবে দেওয়া হবে তা ভাবাচ্ছে বহু পড়ুয়া, অভিভাবককে। এই আবহে এবার সামনে এল নয়া আপডেট। এখনও অবধি টাকা দেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা না করা হলেও, পুজোর আগেই টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই বড় খবর! সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত, জারি নয়া নির্দেশিকা!
উল্লেখ্য, কোভিডের সময়ই ডিজিটাল শিক্ষার গুরুত্ব বোঝা গিয়েছিল। স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকলেও সেই সময় শিক্ষার্থীরা বাড়ি বসে অনলাইনে পড়াশোনা করেছিলেন। রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ডিজিটাল শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই কারণে সরকারের তরফ থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের (Government Scheme) মাধ্যমে ট্যাব এবং স্মার্টফোন কেনার টাকা দেওয়া শুরু হয়।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি এবং সরকার পোষিত বিদ্যালয়ের পাশাপাশি, মাদ্রাসা এবং সংখ্যালঘু বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সেই কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে ট্যাব কেনার জন্য প্রথম টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তখন কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাই পেতেন। তবে এখন দ্বাদশের পাশাপাশি একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পান।